বাংলার ভোর প্রতিবেদক
প্রকল্প গ্রহণের ছয় বছর পর শুরু হয়েছে যশোর ইপিজেড নির্মাণ কাজ। প্রকল্পের ধীরগতি ও জমি অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। তারপরও তাদের দাবি, দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির। এদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
২০১৯ সালের নভেম্বরে যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নে প্রায় ৫০৩ একর জমিতে ইপিজেড নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪৩৮টি প্লটে বিনিয়োগ করার কথা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। এতে প্রায় দেড় লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। জমি অধিগ্রহণ করা হলেও এতদিন গতি ছিল না প্রকল্পের কাজে।
ছয় বছর পর সম্প্রতি আরসিসি খাল খননের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে সেই কাজ। তবে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ পাননি বেশিরভাগ জমির মালিক। এতে বিপাকে তারা। দ্রুত অর্থ পরিশোধ ও ইপিজেড নির্মাণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি তাদের।
ইপিজেড এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি ইপিজেডের অপেক্ষায় রয়েছে। ইপিজেডটি হলে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তবে কাজ শুরু হলেও খুবই ধীরগতিতে চলছে। অনেক জমির মালিক এখনও বুঝে পাননি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ।
যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল হোসেন বলেন, ইপিজেডটি চালু হলে এখানে অনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। এতে উপকৃত হবেন আশেপাশের কয়েক এলাকার মানুষ।
এদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশ্বাস প্রকল্প পরিচালকের। যশোর ইপিজেড স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মো. ইউসুফ পাশা বলেন, সবগুলো কন্ট্রাক্ট যখন হবে কোনটা আগে শেষ হবে এটাতো এখন প্রজেক্টের শুরুতে বলা যায় না।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা থাকবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, যশোর ইপিজেড নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৭৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর।