স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
যশোর জেনারেল হাসপাতালে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত করা প্রায় সব মৃতদেহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত। গত সোমবার যশোরের পাঁচ তারকা জাবির ইন্টারন্যাশনার হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের তাদের মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে নেয়া হয় যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, হোটেল জাবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার একজন নাগরিক, সাধারণ মানুষ, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হন। এর মধ্যে নিহত হন ২৪ জন। বাকি ৩৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরের বাইরে নেওয়া হয়েছে কয়েকজনকে।
নিহতদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর। নিহত ২২ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে। দুটি মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা নিয়ে গেছেন। ২২ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুর ২ টা পর্যন্ত ২ জনের মরদেহ মর্গে পড়েছিলো। নিহতের মধ্যে কোনো নারী সদস্য ছিলনা বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতাল চত্বরে মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ায় শোকের মাতম বিরাজ করছে। থমথমে অবস্থায় লাশ কাটা ঘরে হারানো স্বজনদের খোঁজে আসছেন অনেকেই।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডোম শ্রী অরুণ বলেন, যশোরে চাকরিরত অবস্থায় এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক লাশ ময়নাতদন্ত করেছেন তিনি। তবে অন্য কর্মস্থলে একদিনে ২৫ টি পর্যন্ত মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করেছেন বলেও জানান।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবাধয়ক ডা. হারুন আর রশিদ বলেন, বিদেশি নাগরিকসহ ২৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন। নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।