# নাগরিকদের সচেতন হওয়ার তাগিদ
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর পৌরসভার উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন ও ড্রেন পরিস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ড্রেন পরিস্কার না করায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা মজুরি খরচ হয়েছে। এতে বর্ষার মৌসুমে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা কিছুটা হলেও দূর হবে। এছাড়া সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের দক্ষিণ গেট সংলগ্ন সড়কটি স্থায়ীভাবে সংস্কারের কথা ভাবছে পৌরসভা। রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় এসব কথা জানান পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান।
তিনি আরও বলেন, এমএম কলেজের রাস্তাটি করতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা খরচ হবে। কোভিট-১৯ প্রজেক্ট থেকে ৬ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে। বাকি টাকার ব্যবস্থা হলে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া ভৈবর নদ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। নদের পাড়ে বসবাসরতরা বাড়ি ঘর হারাতে বসেছে। নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।
উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির উন্মুক্ত আলোচনায় সরকারিভাবে মিলারদের কাছ থেকে চালের মজুদ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়ে শংকা প্রকাশ করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: সেফাউর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এখনো মিলাররা সরকারি গুদামে চালের মজুদ করেনি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, যেসকল মিলার সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করবে না অবিলম্বে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূপালী সরকার জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক যশোর রোডের অন্তত ৩৫টি গাছ বর্তমানে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যার কারণে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে কয়েকজন পথচারী আহতের ঘটনাও ঘটেছে। যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন শংকা প্রকাশ করে গাছগুলোর বিষয়ে দ্রুত জেলা পরিষদকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র তিন জন চিকিৎসক রয়েছে। যার ফলে উপজেলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ করার বিষয়ে দাবি করেন তিনি।
তার দাবির প্রেক্ষিতে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা বলেন, সারা দেশে চিকিৎসক সংকট দেখা দিচ্ছে। এছাড়া যারা চাকরি করেন তাদের সবার ভিতরে শহরে চাকরি করার প্রবণতা বেশি থাকে এ কারণেও একটু সমস্যা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসক সংকট দূর করার আশ্বাস দেন তিনি। এছাড়া, সিভিল সার্জন চলমান এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে অতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতার কথা বলেন।
এছাড়াও সভায় জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন কার্যলয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোর, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, জেলা প্রাথমিক অফিস, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের তদারকি করেন জেলা প্রশাসক।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।