স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
যশোর শহরের দড়াটানা, বকুলতলা, মুজিব সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী শরবতের দোকান। গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শহরের এই ফুটপাতে শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। সূর্যের উত্তাপ বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে শরবতের চাহিদা। প্রতিদিন শত শত পথচারী ১০ থেকে ২০ টাকায় কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন স্বাদের ঠান্ডা শরবত। তবে এই শরবতের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা জানিয়েছেন, ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানে বিক্রি হওয়া শরবত খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এসব শরবতে ব্যবহৃত বরফ, পানি ও ফ্লেভারের মান যাচাই করা হয় না। ফলে ফুড পয়জনসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
শহরের বিভিন্ন শরবত বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের পর থেকে শরবতের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। নয়ন হাসান নামে এক বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন তার ৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকার শরবত বিক্রি হয়। শরবতে লেবু, বিট লবণ, তুকমা ও নানা ধরনের ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়।
লিয়াকত আলী নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, দুপুর ১২টার পর থেকে বিক্রি বাড়ে। মাছ বাজার ও রেলগেট এলাকার ফ্যাক্টরি থেকে বরফ সংগ্রহ করেন তারা।
আরেক বিক্রেতা শাহিনুর রহমান জানান, বড় বাজার থেকে লেবু ও বরফ কিনে শবরত তৈরি করা হয়। ১শ’ পিস লেবু কিনে আনেন ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকায়। ১শ’ থেকে ৩শ’ টাকায় বরফ কিনে সারাদিন শরবত বিক্রি করেন তিনি।
আব্দুল্লাহ আল সিয়াম নামে পথচারী বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তাই শরবত কিনে খাচ্ছি। গরমে একটু স্বস্তি পেতে ফুটপাতের এই শরবত খাচ্ছি। খাবারের মান ও গুণাগুণের কথা চিন্তা করিনি।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা আরও বলেন, গরমে সুস্থ থাকতে পরিশুদ্ধ ঠাণ্ডা পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করাই উত্তম। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি শরবত শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।