প্রতিবেদক
নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও পরে লগি-বৈঠার আন্দোলনে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রাজপথ কাঁপানো জুলফিকার আলী জুলাই হার্টের জটিল রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে কার্ডিও ভাস্কুলার সার্জারি ওয়ার্ডে ডা. মঈনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, খুব দ্রুততম সময়ে তার একটি জটিল অস্ত্রপচার করতে হবে। যার জন্য ২০ লাখ টাকারও বেশি দরকার হবে। কিন্তু এতো টাকা জুলাইয়ের পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা কোনভাবেই সম্ভব না। এ অবস্থায় ছোট দুই কন্যা সন্তান নিয়ে জুলাইয়ের স্ত্রী আরিফা সুলতানা কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে পড়েছেন। জুলাইয়ের সুচিকিৎসায় এগিয়ে আসার জন্য তিনি সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
হাসপাতালে জুলাইকে দেখাশোনা করছেন তার স্ত্রী আরিফা সুলতানা, শ্যালক শামীম ও চাচাতো ভাই ইমন। জুলাইকে ভাস্কুলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলেও তাকে হাসপাতালের নতুন বিল্ডিংয়ের অষ্টমতলায় (লিফট ৭) মেডিসিন ওয়ার্ডের ১১ নম্বর বেডে রাখা হয়েছে। আগ্রহীরা সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে অথবা জুলাইয়ের মোবাইল ফোনে (০১৭১৬৭৭৪২২২) যোগাযোগ করতে পারেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (১) জুলফিকার আলী জুলাই এর আগে বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাঘারপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর হিসেবেও একবার দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা হোসেন আলী মোল্যা ২০ বছর ধরে বাঘারপাড়ার দোহাকুলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বৈরি সময়ে রাজনৈতিক জীবনের অনেকটা সময় তাকে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। ২০০৭ সালে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেলও খাটতে হয় তাকে।
বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে জুলাইয়ের স্ত্রী ও দুইটি ছোট কন্যা সন্তান রয়েছে। কয়েকদিন পরেই বড় কন্যা সন্তানটির এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এর মধ্যেই জুলাইকে নিয়ে ছুটাছুটি করতে হচ্ছে স্বজনদের। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বাবার মতোই সততার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন জুলাই। যে কারণে ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে, পৌরসভার কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালনের পরও অর্থনৈতিকভাবে কখনও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেননি তিনি।
হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে জুলাইয়ের সাথে থাকা শ্যালক শামীম জানান, ডাক্তাররা বলেছেন জটিল এ অস্ত্রপচারটি সম্পন্ন করতে কুড়ি লাখ টাকারও বেশি খরচ হবে। বেসরকারি হাসপাতালে করতে গেলে আরও অনেক বেশি লাগবে। রোগ নির্ণয় ও কী করতে হবে সে ব্যাপারে ডাক্তাররা এখন নিশ্চিত হয়েছেন। এখন দরকার টাকা। সেটা নিয়েই সবাই দুঃশ্চিন্তায়।
শিরোনাম:
- যশোরে প্রশাসনের ‘নাকের ডগায়’ সকাল-সন্ধ্যা চলছে কোচিং সেন্টার
- ‘আল্লাহ এবার ফলনও দিলো, নিয়েও নিলো’ ‘সার ও সেচের দাম কিরাম করে দিবানে’
- প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে এক নম্বর ওয়ার্ড জয়ী
- পথচারীদের মাঝে ঠান্ডা শরবত ও স্যালাইনযুক্ত পানি বিতরণ
- মণিরামপুরে স্বরুপজান হত্যা : সৎ ছেলে জিসানের আদালতে জবানবন্দি
- যশোরে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালিত
- যশোরে চলন্ত বাসের যাত্রীকে অজ্ঞান করে লুট
- যশোর শহরে ১২ ঘন্টায় জামায়াতের সহযোগী সদস্য হলেন ৬৩৭ জন