বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ভবদহ জলাবদ্ধ এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে শুক্রবার শুরু হয়েছে নদী খনন। এছাড়া এবারের বর্ষা মৌসুমে একটি স্লুইসগেটের কপাট খুলে দেয়ায় ও নদী খনন শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ভবদহের মানুষ। এ অঞ্চলের স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে এ উদ্যোগ সফলতা আনবে বলে আশা করছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
একশ’ চল্লিশ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবদহ অঞ্চলের পাঁচটি নদীর ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খননে নেয়া এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় শুক্রবার দুপুরে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান।
খননের শুরুর দিন সেনাবাহিনীর এসময় নদী খনন প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন ও তদারকির আশ্বাস দেন এ প্রকল্পে নিযুক্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুন উর রশিদ।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার বিশ্বাস, ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার যশোরের ভবদহ এলাকার মানুষ। জেলার অভয়নগর, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রামে ভবদহের জলাবদ্ধতা।
এ অবস্থা নিরসনে দুর্ভোগ আক্রান্ত মানুষের পরামর্শ কখনও মূল্যায়ন করেনি বিগত সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। কার্যকর প্রকল্প পাশ কাটিয়ে নেয়া হয়েছে অকার্যর প্রকল্প। যা স্থানীয়দের ভোগান্তি বাড়িয়েছে ক্রমশ।
পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে ৬টি নদী ও শতাধিক খাল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন স্লুইস গেটগুলোর কপাট খুলে দেয়া ও ভরাট হয়ে যাওয়া নদীগুলো সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে খনন করা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্ভোগ আক্রান্ত মানুষের দাবি পূরণ করলো।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী খননই ভবদহের ভোগান্তি নিরসনে শেষ কথা নয়। প্রয়োজন পলি শাসনের জন্য জোয়ারাধার বা টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট-টিআরএম চালু করা।
