কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন ও ছাড় পত্র ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখে কোন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার বিধান নেই। অথচ কালীগঞ্জ উপজেলায় এক শ্রেণীর ভুয়া চিকিৎসকরা নামের আগে ডাক্তার লিখে প্যাড ছাপিয়ে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারী না থাকার কারণে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে শত শত লাইসেন্স বিহীন নামধারী ডাক্তাররা চেম্বার খুলে বসে আছে। তারা ওষুধ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বিভিন্ন এলাকার রোগীর কাছে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার , রাখাল গাছী , সাঁকো বাজার, বানুড়িয়া, কালুখালী, কোলা, কালা, সিংগী, নগর চাপরাইল বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে লাইসেন্স বিহীন নামধারী ডাক্তাররা চেম্বর খুলে বসে আছে। তারা নিজের নামে প্যাড ছাপিয়ে নামের আগে ডাক্তার লিখে বিভিন্ন ডিগ্রী দেখিয়ে এলাকার নিরীহ সহজ সরল মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তারা এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা প্রকৃত ডাক্তার না হলেও এলাকার বিভিন্ন ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের চেম্বরে এসে মোটা অংকের উপঢৌকন দিয়ে তাদের নিম্নমানের ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখিয়ে তারাও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ বিক্রেতাদের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা ও নামি দামি উপঢৌকন নেয়ার ফলে রোগীদের যে সব ওষুধ প্রয়োজন তার চেয়ে অধিক ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখে সাধারণ রোগীদের প্রেসক্রিপশন অনুয়ায়ী ওষুধ কিনতে বাধ্য করছে। ফলে রোগ নিরাময়ের চেয়ে তাদের শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
এলাকার রখটে খাওয়া সাধারণ মানুষ সামান্য অসুস্থ হলেই ওই সকল ডাক্তার ও ফার্মেসির কাছে থেকে নিম্নমানের ওষুধ খেয়ে আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত বলেন, অনভিজ্ঞ হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা নিলে রোগীদের বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হবে এমন কি মৃত্যু ও হতে পারে।