বেনাপোল সংবাদদাতা
দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে গত এক সপ্তাহে আমদানি করা হয়েছে ১৪শ’ ৩ মেট্রিক টন ছোলা। টিসিবির আওতায় নিম্ন-আয়ের মানুষদের জন্য সরকারি পর্যায়ে ৪০০ মেট্রিক টন এবং বেসরকারি পর্যায়ে এক হাজার তিন মেট্রিক টন আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে ছোলার বাজার দর কেজি প্রতি একশ টাকার বেশি। টিসিবির আওতায় ভর্তুকি দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের তা ৫৫ টাকায় দেয়া হবে।
সাধারণ ক্রেতারা আশা করছেন, সরকারিভাবে আমদানির ফলে বাজারে ছোলার দাম কমে আসবে। তারা জানান, রমজানের আগে নিত্যপণ্যের অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভাঙলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।
গতকাল সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে পাঁচটি চালানের বিপরীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এই স্থলবন্দর দিয়ে গত এক সপ্তাহে এক হাজার ৪০৩ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। এসব ছোলার গুণগত মান নির্ণয় করে তা ছাড় দেওয়া হয়েছে। বেসরকারিভাবে ছোলা আমদানির পাশাপাশি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আওতায় চার হাজার মেট্রিক টন কাঁচা ছোলা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি আরও জানান, ছোলার আমদানি খরচ প্রতি কেজি ৮৫ টাকা পড়ছে। ভর্তুকি দিয়ে ৫৫ টাকা দরে খোলাবাজারে টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে বিক্রি করা হবে। এ ছাড়াও রমজানের মধ্যে ছোলার পাশাপাশি ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর বিক্রি করবে টিসিবি।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম (ট্রাফিক) বলেন, ‘পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছোলাসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রবের আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে যাতে এসব পণ্য দ্রুত ছাড় হয় সে জন্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।’