শ্যামনগর প্রতিনিধি
সুন্দরবন উপকূলীয় লবণাক্ত কৈখালী ইউনিয়নে পতিত ১৫ একর জমিতে ৩ সেচের মাধ্যমে গম চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।
সিএনআরএস বাস্তবায়িত ‘প্রতিবেশ প্রকল্পের’ সহযোগিতায় উদ্যোক্তার মাধ্যম ‘গম ও ভূট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, নশিপুর দিনাজপুর এবং বিএডিসি থেকে বারী ২৫ ও বারী ৩৩ জাতের গম বিজ সংগ্রহ করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। বিজ সহযোগিতা পেয়ে উপজেলার কৈখালি ইউনিয়নের ২৭ জন কৃষক প্রায় ১৫ একর জমিতে বারী ২৫ ও বারী ৩৩ জাতের গম চাষ করেন। এতে হেক্টর প্রতি ৩.৭৫ মেট্রিক টন ফলন হসেছে ।
কৈখালীতে শুধুমাত্র বর্ষাকালে একটি মাত্র আমন ধানের ফসল হয়। বাকি বছরটাই জমি পড়ে থাকে। রবি মৌসুমে পতিত জমিতে গম চাষের এই সফলতা উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশার আলো দেখাচ্ছে। লবণাক্ত এলাকায় গম চাষের এই সফলতা দেখে আগামীতে পতিত জমিতে গম চাষ ব্যপকভাবে সম্প্রসারণ হবে বলে কৃষকরা অভিমত ব্যক্ত করেন। তাছাড়াও গম চাষ সম্প্রসারিত হলে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল বনজীবী পরিবারের সদস্যরা কাজের সুযোগ পাবেন।
এতে করে তাদের আয় বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপামি সুন্দরবনের উপর চাপ কমবে। কৃষক ও বনজীবী ইউনুস আলী বলেন, এ বছর আমি প্রথম গম চাষ করেছি। মাত্র ৩টি সেচে এই গম চাষ করা সম্ভব হয়েছে। ৩৩ শতকে ৪৮০ কেজি গম পেয়েছি।
আমাদের দেখাদেখি আরও অনেক পরিবার গম চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছে। ইউনুস আলী, রহিমা বেগম, মমিন আলী, শাহানূর আলম, আমিন আলীসহ ২৭ জন কৃষক কৈখালীতে ১৫ একর পতিত জমিতে লবন সহনশীল গম উৎপাদন করে।
শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন আমরা কৃষকদের শুধুমাত্র কারিগরি সহায়তা দিয়েছি। কৃষকরা লবণ সহনশীল গম বিজ পেয়ে খুবই উৎসাহের সাথে গম চাষ করেছে। এতে তারা অনেক লাভবান হয়েছে। আগামীতে তারা আরো জমিতে গম চাষ করবে বলে জানিয়েছেন।