বাংলার ভোর প্রতিবেদক:
অভয়নগরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বেপরোয়া একটি চক্র। আর এ চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এতে করে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নন উঠেছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
জানা গেছে, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এ অঞ্চলে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে চলেছে। এদিকে ঘনিয়ে আসছে উপজেলা নির্বাচন, প্রতিপক্ষকে দমাতে রাজনীতির অপকৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বেপরোয়া সন্ত্রাসী হামলা। সহিংস কর্মকান্ড সক্রিয় রাখতে সন্ত্রাসীদের দলীয় পদে বহাল রেখেছেন স্বার্থান্বেষী নেতারা। গুম খুন হত্যা ভূমিদস্যুতা সহ বহু অপকর্মে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় অতিসম্প্রতি অভয়নগর পৌর যুবলীগের নেতা মুরাদ হাসানকে হত্যা করা হয়। গুটিকয়েক হামলাকারী গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় আসল পরিকল্পনাকারীরা। কিছুদিনের ব্যবধানে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করা হয় সাংবাদিক পুত্র কলেজ ছাত্র এসএম সিফাতউল্লাহকে। বর্তমানে তিনি আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎধীন রয়েছেন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে।
এদিকে, ওই হামলার সপ্তাহ না পেরোতেই আবারো হামলার স্বীকার হলো ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে যশোর সদরের পুলেরহাট নামক স্থানে হৃদয়কে একা পেয়ে অভয়নগরের শীর্ষ সন্ত্রাসী (মৃত) শিমুলের কথিত (ডানহাত) প্রধান সহযোগী আব্দুস ছামাদের নেত্রীত্বে ৬/৭ জনের একটি সন্ত্রাসীদল উপর্যুপরি হামলা চালায়, তাতে মেহেদী হাসান হৃদয়ের দুই পায়ের হাড় ভেঙ্গে মারাত্মক জখম হয়। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত মেহেদী হাসান হৃদয় যশোর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ উক্ত ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।