বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুলের দু’টি মামলায় হাইকোর্টে দেয়া জামিন নিম্ন আদালতে বহাল রেখেছেন। সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা জামিনযোগ্য ধারা এবং চাঁদাবাজি মামলার ফলাফল বিবেচনায় ওই জামিন বহাল রাখা হয়েছে। হাইকোর্টের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ধার্য তারিখের আগেই বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন বিপুল। বিচারক ইমরান আহম্মেদ আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত তাকে জামিন দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন এবং চট্টগ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম আদালত এবং থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বাদী হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ চাঁদা দাবি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পাশাপাশি চট্টগ্রামের পোর্ট থানা এলাকার ডেভেলপার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। বিচারকের নির্দেশে ৩ মার্চ ওই মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ওই দুই মামলায় আনোয়ার হোসেন বিপুল হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। এদিকে ওই মামলা দু’টির ধার্য তারিখ আসার আগেই বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন বিপুল। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ এদিনই শুনানি শেষে আনোয়ার হোসেন বিপুলকে আগামী ১২ মে এবং ২ জুন পর্যন্ত আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
এই ব্যাপারে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুলের আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের তিনটি ধারা জামিন যোগ্য। তাছাড়া চাঁদাবাজি মামলার ধারা জামিন অযোগ্য হলেও হাইকোর্টের আদেশ এবং মামলার ফলাফল বিবেচনায় আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।