বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের অভয়নগর উপজেলার দামুখালীতে সুব্রত মন্ডল ও দত্তগাতিতে খন্দকার রকিবুল ইসলাম হত্যা মামলায় ডিবি পুলিশ আদালতে পৃথক চার্জশিট দিয়েছে। ওই দুই মামলায় চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়াকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শফি আহমেদ রিয়েল আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চলতি বছরের ৯ মে দেয়া খন্দকার রকিবুল ইসলাম হত্যা মামলার চার্জশিটে অন্য অভিযুক্তরা হলেন খুলনার জামিরা এলাকার জিয়া মোল্লা, মেহেদী হাসান সবুজ, সোলায়মান মোল্লা, রাজু, হৃদয়, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের জায়েদ হাওলাদার ওরফে জিহাদ হাওলাদার, যশোরের অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতি গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া, সাইফুল আলম মোল্লা, বুলবুল ও সরখোলা গ্রামের রাজিব মোল্লা।
২০২২ সালের ১২ মে রাত সোয়া ৮টার দিকে খন্দকার রকিবুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে তার বান্ধবী পিয়ারী বেগম ওরফে বর্ষা আহত হন। এ ঘটনায় নিহতের মা রহিমা বেগম ১৩ মে অভয়নগর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শফি আহমেদ রিয়েল জানান, নিহত খন্দকার রকিবুল ইসলাম চরমপন্থি সংগঠনের সদস্য ছিলেন। তিনি ঘের মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন বলে অভিযোগ ছিল। তার জন্য প্রতিপক্ষ চরমপন্থিরা ওই এলাকায় সুবিধা করতে পারতো না। এ কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁদ পেতে ডেকে এনে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
অপরদিকে চলতি বছরের ১৯ মার্চ দেয়া সুব্রত মন্ডল হত্যা মামলার চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর এলাকার শিমুল ভুইয়া, সোলায়মান মোল্লা, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের জায়েদ হাওলাদার ওরফে জিহাদ হাওলাদার, ইসরাফিল মুন্সী, আরমান মুন্সী, গাজী আরাফাত হোসেন কাইফ, যশোরের অভয়নগর উপজেলার দামুখালী গ্রামের শ্যামল মন্ডল, পিন্টু হালদার, চলিশিয়া গ্রামের আমিনুর মোল্লা, সরখোলা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, শাকিল সরদার, রাজিব মোল্লা, উত্তর সরখোলা গ্রামের সুমন মোল্লা, বুইকারা হাসপাতাল এলাকার রাব্বি হোসেন ও দত্তগাতি গ্রামের সাইফুল আলম মোল্লা।
২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে অভয়নগর উপজেলার দামুখালীতে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃৃত্তরা গুলি চালিয়ে হত্যা করেন সুব্রত মন্ডলকে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই অমৃত মন্ডল ১৩ জানুয়ারি অভয়নগর থানায় মামলা করেন। এই মামলা তদন্তকালে ডিবি পুলিশের এসআই শফি আহমেদ রিয়েল চরমপন্থি নেতা শিমুল ভুইয়াসহ উল্লিখিত ১৫ জনের সম্পৃক্ততা পান। চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারা সুব্রত মন্ডলকে হত্যা করেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঝিনাইদহের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে ভারতে নিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে শিমুল ভুইয়াকে। এই শিমুল ভূইয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। বর্তমানে শিমুল ভূইয়া ঢাকার ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।