Close Menu
banglarbhore.com
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
Facebook X (Twitter) Instagram
শিরোনাম:
  • আরএন রোড ক্রীড়া চক্রের ৭৭ সদস্যর কমিটি গঠন
  • যশোরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি পালন
  • যশোরে নার্স ও মিডওয়াইফারিদের প্রতীকী শাটডাউন
  • লিটন পরিবহণের চাপায় বৃদ্ধা নিহত
  • কেশবপুরে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
  • খুলনায় আদালতে হাজিরা দিতে আসা দুজনকে গুলি করে হত্যা
  • ঐ বিজয়ের কেতন ওড়ে
  • মহম্মদপুরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল
Facebook X (Twitter) Instagram
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
banglarbhore.combanglarbhore.com
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
সোমবার, ডিসেম্বর ১
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
banglarbhore.com
দক্ষিণ-পশ্চিম

বেপরোয়া যবিপ্রবি ছাত্রলীগ : ক্যাম্পাসে দেড় বছরে ১০ সহিংসতা

শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, চাকরিপ্রার্থী নির্যাতন
banglarbhoreBy banglarbhoreজুন ৮, ২০২৪No Comments
Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Reddit Tumblr Email
Share
Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

হাসান আদিত্য

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দেড় বছরে অন্তত ১০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, চাকরিপ্রার্থীরাও। একের পর এক বিতর্কিত ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললেও বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠন করে দায় সেরেছে। দুই একজনকে সাময়িক বহিস্কার হলেও পরবর্তীদের তারা মাফ পেয়ে গেছেন। থানায় মামলা হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপরে চাপ সৃষ্টি করে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এজন্য তারা সারাবছরই ক্যাম্পাস অস্থির করে রাখে।

ছাত্রলীগের লাগাম টানা যাচ্ছে না কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা শিক্ষকেরা লাগাম টানতে পারবো না। সেটা সম্ভবও না। কারণ, এটা রাজনৈতিক বিষয়। রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধান করতে হবে। ছাত্র রাজনীতি ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে-এটা রাজনীতিবিদদের বুঝতে হবে’।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার আমবটতলা গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টুডেন্ট কোড অব কন্ডাক্ট’ অনুযায়ী ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে মে মাসে ছাত্রলীগ সেই নিয়ম ভেঙ্গে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করে। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রথম বলি হন মেধাবী শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলাম রিয়াদ। দিনদুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রকাশ্যে ছুরি মেরে তাকে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত নাঈমুলের পরিবার। গত ১০ বছরেও সেই মামলার বিচার হয়নি। নিজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ডাকাতির ঘটনা ঘটনাও ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হলেও জড়িতরা আজও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই ধারাবাহিতকায় রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত দেড় বছরে ক্যাম্পাসে অন্তত এমন ১০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ৪ জুন মঙ্গলবার গভীর রাতে যবিপ্রবির আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরীন রহমান প্রলয়কে (২৪) তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রাবাসে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার (৩০৬ নম্বর) কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। সভাপতির উপস্থিতিতে রাতভর নির্যাতনের পর ওই শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। শুধু ওই শিক্ষার্থী নয়, এই ঘটনা চেপে যেতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাকে মুঠোফোনে হুমকি দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বাড়িতে বোমা মারা হবে বলে মুঠোফোনে হুমকি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়। শাহরীন রহমান প্রলয় যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৮ জনের নামে মামলা করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্রাবাসের ভিতরে ছাত্রলীগের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ার অপরাধে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। কোতোয়ালি থানায় যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ অভিযাগ করা হয়। ওই শিক্ষার্থী যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়, দায়সারাভাবে তদন্ত হয়ে অনেকেই মাফ পেয়ে যান। এই ঘটনায় একজনকে বহিস্কার করে যবিপ্রবি প্রশাসন। এর আগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর সকালে লিফট অপারেটর পদে চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে ১১ জন প্রার্থী ছাত্রলীগের নির্যাতন ও নাজেহালের শিকার হন। ওইদিন সকাল ১০টায় তারা ক্যাম্পাসের মূল ফটকে পৌঁছালে তাদেরকে শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলের ভিতরে নিয়ে পাঁচ ঘন্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে পরে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি এক প্রার্থী আরাফাত হোসেন বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। গত ৯৯তম রিজেন্ট বোর্ডে অভিযুক্ত ৬ জনকে আজীবন বহিস্কারের সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি। এরপর বোর্ডের প্রভাবশালী সদস্য স্থানীয় সংসদ কাজী নাবিল আহমেদ অভ্যন্তরীণ অধিকতর তদন্ত করার পরামর্শ দেন। সেই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবিরকে। সেটিও এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ওই ঘটনার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অপহরণের ঘটনায় জড়িতরা সবাই নাবিল আহমেদের রাজনীতির অনুসারী। ফলে সঠিক বিচার না হওয়াতে বারবার এসব ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটছে। যদি সঠিক বিচার হতো, তাহলে এসব ঘটনা ঘটতো না।

গেল বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে এক সাধারণ শিক্ষার্থীকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মশিয়ূর রহমান হলের একটি কক্ষ থেকে ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভুক্তভোগী ইসমাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযুক্তরা হলেন, কম্পিউটার বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সালমান এম রহমান ও একই বিভাগের বহিস্কৃত শিক্ষার্থী সোহেব আলী। তারা ৫২৮ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়।

একই বছরের ১৭ জুন ১২ দফা দাবিতে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। তারা ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ও পাঠদান বন্ধ করে দেয়। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল ও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রায় এক মাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ও পাঠদান বন্ধ থাকে। ধর্মঘটের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বহনকারী বাসের চাবি কেড়ে নেওয়া ও অফিস কক্ষের এসি বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির ডাকে ২২ জুলাই থেকে শিক্ষকদের ধর্মঘট শুরু হয়। ছাত্রলীগ ও শিক্ষকদের ডাকে টানা ৫৪ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকে। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। আগস্ট মাসে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ক্যাম্পাসে যোগ দেয়ার আগে শিক্ষকেরা ওই ধর্মঘট তুলে নেন।

কিন্তু ঘটনার শান্তিপূর্ণ কোনো সমাধান হয়নি। ১৪ অক্টোবর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সলের অনুসারীদের মধ্যে মারামারিতে পাঁচজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দুইজন সাধারণ শিক্ষার্থীও মারধরের শিকার হন। তারা হলেন, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের আশরাফুল ইসলাম ও জামিল খান।

মারামারির ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং (এফবি) বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয় এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ মসিয়ূর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ আহমেদকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়।

ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়। কিছুদিন পর গত ১১ নভেম্বর আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সল বলেন, ‘সেদিন বহিরাগত কিছু লোকজন ক্যাম্পাসে এসে ঝামেলা করেছিল। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সেটা তদন্ত করে দেখেছে। সত্যতা মেলায় কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে’।

এদিকে, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের প্রতিবেদন করায় গত ১৭ অক্টোবর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য শিহাব উদ্দিন সরকারকে মারধর করে তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সারাবছরই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সহিংসতা সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘সারাবছর ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় নিউজ হয়েছে-এটা সত্য। কিন্তু ঘটনার পর পরই ছাত্রলীগকে নিয়ে সংবাদ হয়। কিন্তু ওসব ঘটনা তদন্ত হচ্ছে, তদন্ত ঝুলে আছে। তদন্ত কমিটি যদি জড়িত থাকার কথা না বলে, তাহলে ছাত্রলীগের দোষ বলা যাবে না। ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। সবাই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে থাকতে চায়। শিক্ষার্থীই ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দেয়। যে যা করে তাতেই ছাত্রলীগের দুর্নাম হয়। সক্রিয় কর্মীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু নিষ্ক্রিয় কেউ ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে কিছু করলে আমরা কি ব্যবস্থা নিবো’?

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের সোহেল রানাকে সভাপতি ও পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের তানভীর ফয়সালকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির দুই বছর পার হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি সোহেল তানভীরের কমিটির নেতৃত্ব। বরং বারবার এই কমিটির স্বয়ং সভাপতি-সম্পাদক সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড করে নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একটি বর্ধনশীল বিশ্ববিদ্যালয়। সারাদিনই ক্যাম্পাসে থাকি। তারমধ্যে ছাত্রলীগ নানা ধরণের সহিংস ও অস্থিরতা ঘটায়। এটা খুবই দুঃখজনক। তারা ক্যাম্পাসের বাইরের রাজনীতির প্রভাবে এসব ঘটনা ঘটায়। যারা বারবার এসব ঘটনা ঘটায়, তারা চিহ্নত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও রাজনীতিক প্রভাবে রক্ষা পেয়ে যায়। বহিস্কার করলেও তারা ক্যাম্পাস ছাত্রাবাসে অবস্থান করে। বাইরের রাজনীতির সেল্টারে তারা এখানে অবস্থান করে। তবে আর এসব বির্তকির্তদের রক্ষা নেই। কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Telegram Email
banglarbhore
  • Website

Related Posts

আরএন রোড ক্রীড়া চক্রের ৭৭ সদস্যর কমিটি গঠন

ডিসেম্বর ১, ২০২৫

যশোরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি পালন

ডিসেম্বর ১, ২০২৫

যশোরে নার্স ও মিডওয়াইফারিদের প্রতীকী শাটডাউন

ডিসেম্বর ১, ২০২৫
Leave A Reply Cancel Reply

You must be logged in to post a comment.

সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন

উপদেষ্টা সম্পাদক : হারুন অর রশীদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মেজর (অব.) এবিএম আমিনুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ডিডি এনএসআই (অব.) মুফাজ্জেল হোসেন

নির্বাহী সম্পাদক : সৈয়দা নাজমুন নাহার শশী

প্রকাশক কর্তৃক মান্নান প্রিন্টিং প্রেস এর তত্ত্বাবধানে সম্পাদকীয় কার্যালয় ডি-৩০ নতুন উপশহর এবং বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৯ মুজিব সড়ক, যশোর থেকে প্রকাশিত।

মোবাইল: ০১৯০১-৪৬০৫১০-১৯ | ফোন: ০২৪৭৮৮৫১৩৮৬

ই-মেইল: banglarbhorenews@gmail.com

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.