নড়াইল সংবাদদাতা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় পলাশ মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ রায় দেন। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া এ ঘটনায় দায়ের হওয়া পেনালকোডের ২০১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের প্রত্যেককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ৩৬৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
নড়াইল দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এমদাদুল ইসলাম (ইমদাদ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, জেলার লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের আনারুল মোল্লা, মরিচপাশা গ্রামের জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া এবং আড়পাড়া গ্রামের নাজমুল শিকদার।
রায় ঘোষণার সময় আসামি জিনারুল আদালতে উপস্থিত ছিল। আসামি আনারুল ও নাজমুল পলাতক আছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ জুন সকাল ৭টায় লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের পলাশ মোল্লাকে (২৫) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামি আনারুল মোল্লা, জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া এবং নাজমুল শিকদার। তারা পলাশকে ইজিবাইক কিনে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে।
একই দিন সন্ধ্যায় মাগুরা জেলার সদর উপজেলার আমুড়িয়া-বাহারবাগ গ্রামের মধ্যবর্তী ধানখোলা মাঠের পাটক্ষেতে নিয়ে পলাশকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। ঘটনার তিন দিন পর ২৬ জুন গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত পলাশের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তিন জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তিন জনের ফাঁসির রায় প্রদান করেন।