বাংলার ভোর প্রতিবেদক
তিব্র গরমে ফের নাজেহাল যশোরের জনজীবন। সূর্যের অগ্নিমূর্তি দেখছে এই জনপদের মানুষ। প্রতিনিয়ত ব্যারোমিটারের পরদস্তুর উপরের দিকে উঠছে। তিব্র রোদের সাথে সাথে বায়ুস্তরও অসহ্য গরম অনুভব করাচ্ছে।
বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে গরমে ফের হাঁসফাস অবস্থা বিরাজ করছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষদের। কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বের হলেও অনেকেই গরমে কাজ করতে পারছেন না। ফলে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।
বৃহস্পতিবার যশোর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩ টা নাগাদ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৫৬ শতাংশ।
এদিন শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শহরের মোড়ে মোড়ে পানি জাতীয় ফলের বিক্রি বেড়েছে। ফুটপাতে ঠান্ডা পানির শরবতে সাময়িক স্বস্তি খুজছেন পথচারীরা। যেহেতু ঈদ সমাগত তাই মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সমাগম বেশি। কিন্তু তিব্র গরমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্রয় বিক্রি মনপুত হচ্ছে না। এছাড়া শহরে যানজট গরমে ভোগান্তির মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
শহরের দড়াটানায় আবু হানিফ নামে এক রিকসা চালকের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, সামনে ঈদে খরচ বাড়বে। রোদের তাপ খুব। তারপরও রিকসা নিয়ে বের হয়েছি। গরমে যাত্রী পাচ্ছি না। অপেক্ষা করছি। রোদে কষ্ট হলেও কিছু করার নেই।
এদিকে কোরবানি ঈদ সামনে রেখে কামারপাড়ায় বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। সারা বছরের তুলনায় ঈদের আগে ১৫ দিন তাদের কাজের চাপ বাড়ে। এ বছর কাজের চাপ বাড়লেও তিব্র গরমে কাজ করতে পারছেন না তারা। কথা হয় বিরামপুরের কর্মকার রবিনের সাথে। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে কাজের চাপ বেড়েছে।
কিন্তু গরমের কারণে বেশি সময় আগুনের পাশে বসে কাজ করা যাচ্ছে না। তারপরও যতদূর সম্ভব চেষ্টা করছি বিকেলের দিকে রোদের তাপ কম হলে কাজ করার।
শহরের লালদীঘির পাড়ে কাজের সন্ধানে বসে থাকা দিন মজুর মো. আনিস জানান, সকালে কাজের জন্য এখানে এসে বসেছি। রোদের তাপ সহ্য করা যাচ্ছে না। কাজও পাচ্ছি না।