নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল শহরের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় পুলিশ সদস্য ইমদাদুল ইসলামের (২৭) ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে নেয়ার ঘটনায় তার সাবেক স্ত্রী ডলি খাতুনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। ইমদাদুল যশোর পুলিশ লাইন্সে নায়েক পদে কর্মরত আছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইমদাদুলের বাবা জেলার লোহাগড়া উপজেলার হামরোল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য বজলেয়ার রহমান এ মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর যশোরে কর্মরত থাকা অবস্থায় পুলিশ সদস্য ইমদাদুল ইসলামের সাথে যশোর শহরের ডলি খাতুনের বিয়ে হয়। কিন্তু পারিবারিক কলহের জেরে পরের বছর ২০২৩ এর ৩০ সেপ্টেম্বর ইমদাদুল স্ত্রী ডলিকে তালাক দেন। এ ঘটনার পর ডলি খাতুন ইমদাদুলের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে নারী নির্যাতনসহ দুটি মামলা দায়ের করেন। ইমদাদুলও পরবর্তীতে ডলির বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতে একটি মামলা করেন।
গত ১০ জুন যশোর জজ আদালতে পুলিশ সদস্য ইমদাদুলের বিরুদ্ধে ডলির দায়ের করা একটি মামলার হাজিরার দিনে আদালত চত্বরে দুজনের মধ্যে ৩ লাখ টাকার চুক্তিতে মামলা নিষ্পত্তির আলোচনা হয়। পরদিন মঙ্গলবার নিরিবিলি স্থানে কথা বলার জন্য তারা নড়াইল শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় শেখ রিজেন্সী গেস্ট হাউজে (আবাসিক হোটেল) দুপুরে প্রবেশ করে।
সেখানেই সুযোগ বুঝে ডলি ধারালো চাকু দিয়ে ইমদাদুলের বিশেষ অঙ্গে আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য ইমদাদুলের বাবা বজলেয়ার রহমান বলেন, এ ঘটনার পর ছেলের অপারেশন হয়েছে। ছেলের অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। ছেলের চিকিৎসার জন্য ছোটাছুটি এবং কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনার জন্য মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান।
নড়াইল সদর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারীসহ পুলিশ সদস্য যে হোটেলে উঠেছিল সেখান থেকে কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
এ বিষয়ে যশোর পুলিশ লাইনের আর.আই মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইমদাদুল ইসলাম যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন। তার আহত হবার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এখন তিনি আগের চেয়ে সুস্থ আছেন।’