ঝিকরগাছা সংবাদদাতা
যশোরের ঝিকরগাছায় সাংবাদিকের ভবনের তিন তলার রান্নাঘর থেকে দুইটি বিষধর গোখরা সাপ মেরেছেন বাড়ির মালিক। এ ঘটনায় সরকারের স্নেক রেস্কিউ টিমের সদস্যদের সহযোগিতা চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার রাত নয়টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা সেতু সংলগ্ন বাড়ি এসএম গার্ডেন থেকে সাপ দুইটি মারা হয়। এ ঘটনায় ওই ভবনসহ আশেপাশের ভবনগুলোতে আতংক বিরাজ করছে।
ভবনের মালিক সাংবাদিক উপাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দীন জানান, ওই ভবনের তৃতীয় তলায় স্বপরিবারে বসবাস করেন তিনি। সন্ধ্যায় তার ছোট মেয়ে দুধ রাখার পাত্র আনতে গেলে সাপ দেখতে পায়। পরে পরিবারের অন্য সদস্যদের বিষয়টি জানালে তারা প্রথমে বিষয়টি পাত্তা দেয়নি। তাদের ধারণা তিন তলায় সাপ থাকা অসম্ভব। পরে তিনি মেয়ের ভীতির কারণে রান্নাঘরে গিয়ে সাপের অস্তিত্ব টের পান।
ইলিয়াস উদ্দীন বলেন, প্রতিবেশি কয়েকজনকে ডেকে রান্নাঘরের তাকের জিনিসপত্রের মধ্যে প্রথমে একটি সাপ পেয়ে সেটিকে মেরে ফেলা হয়। সেই সাপের ছবি বন সংরক্ষণ অফিসে পাঠালে এক কর্মকর্তা জানান এটি গোখরা জাতীয় বিষধর সাপ। পরে সন্দেহবশত রান্নাঘরে খুঁজলে আরো একটি সাপ পাওয়া যায়। পরে সেটিকেও মেরে ফেলা হয়। এই ঘটনায় পুরো বাড়িজুড়ে ভীতি কাজ করছে। সবাই রান্নাঘরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাপের অস্তিত্ব টের পাওয়ার পরে সরকারি স্নেক রেসকিউ টিমকে খবর দিলেও কোন সহায়তা পাওয়া যায়নি। তারা জানান, যশোরে এ ধরনের কোন টিম নেই। খুলনা অফিসে যোগাযোগ করলেও দূরত্বের কারণে তারা সহযোগিতা করতে পারেননি। পরে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পাশ্ববর্তী শার্শা উপজেলা বন সংরক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করিয়ে দেন। তিনি রাতে সহযোগিতা করতে পারবেন না বলে জানান, তবে পরদিন দিনের বেলায় বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। উপায়ন্তর না পেয়ে বাধ্য হয়েই হাতে মোটা বস্ত্র পেচিয়ে সাপ খুঁজে দুটো সাপই মেরে ফেলেন।
শার্শা বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ কিপার ইলিয়াস হোসেন জানান, ভুক্তভোগী ওই পরিবার থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু আমাদের কোন সাপ বিশেষজ্ঞ নেই। তবে সাপের ছবি দেখে মনে হয়েছে এটা গোখরা প্রজাতির বিষধর সাপ।