বাংলার ভোর প্রতিবেদক
রাষ্ট্র সংস্কারে যতদিন সময় লাগবে ততদিন জামায়াতের সমর্থন থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি রবিবার বিকালে যশোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যেকালে এই মন্তব্য করেন। সংগঠনটির যশোর শহর সাংগঠনিক জেলার আয়োজনে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে (বিডি হল) এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভায় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ চায় একটি অবাধ-নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন হোক। এজন্য নতুন এ অন্তর্বতীকালীন সরকারকে আমরা কোনো সময় বেঁধে দিতে চাই না। সংবিধান সংশোধনসহ রাষ্ট্রের রন্ধে রন্ধে থাকা দুর্নীতি উৎখাতে যতদিন সময় লাগবে ততদিন সময় দিতে চাই।
নির্বাচন প্রসঙ্গে টেনে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এমন কোনো নির্বাচন আমরা চাইনা যে ভোটের দিন আমরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবোনা। ভোটের দিন-ভোট দিতে গেলে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বলবে ভোট দেয়া হয়ে গেছে, ব্যালট বাক্স নিয়ে গেছে, দিনের ভোট রাতের হয়ে যাবে। এমন নির্বাচন বাংলাদেশে আর কোনোদিন হতে দেয়া হবে না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর নতুন যে সরকার গঠন হয়েছে তারা জনগণের এ প্রত্যাশা পূরণ করবে।
তিনি বলেন, ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতা-সৈনিকের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে জগদ্দাল পাথরের মত চেপে বসা ১৫ বছরের স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার পরাজয় হয়েছে এবং বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়েছে। অর্জিত বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতার সুবাতাস অনুভব করছি। দেশের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। বিজয়ের পরে দেশের ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের বাড়ি ঘরে, উপাসনালয়ে হামলার নাটক সৃষ্টি করে প্রতি বিপ্লব ঘটানোর পায়তারা করেছিল পরাজিত শক্তি। জামায়াত দেশের ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দিয়েছে। বিষয়টি বিশ্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূলের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা মোবারক হুসাইন ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজীজুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, যশোর সাংগঠনিক জেলা পূর্ব আমীর মাওলানা আব্দুল আজীজ, যশোর সাংগঠনিক জেলা পশ্চিম আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, শহর সাংগঠনিক জেলা নায়েবে আমীর বেলাল হুসাইন প্রমুখ। শহীদ পরিবারের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করেন শহীদ ইমতিয়াজ হোসেন রাজিবের পিতা নওশের আলী ও শহীদ তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা।