বাংলার ভোর ডেস্ক
দেশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যা দুর্গত পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোয় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও। ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে; এর মধ্যে ২৮জনই মারা গেছেন ফেনীতে। মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বন্যায় ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫০ লাখ ২৪,২০২ জন। এখনো পানিবন্দি আছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫টি পরিবার। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪৫জন। এছাড়া ১৯ শিশু এবং ৭ জন নারী মারা গেছেন।
জেলাভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, ফেনীতে মারা গেছেন সবচেয়ে বেশি ২৮ জন। এরপর কুমিল্লায় ১৯, চট্টগ্রামে ৬, নোয়াখালীতে ১১ জন, কক্সবাজারে ৩ এবং খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষ্মীপুর এবং ও মৌলভীবাজারে ১ জন করে মারা গেছেন। আলী রেজা বলেন, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
উজানের তীব্র ঢল এবং অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পরে দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।
অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা বলেন, পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দুর্গত এলাকায় ৩,৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এখন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৬ জন মানুষ এবং ৩১,২০৩টি গবাদিপশুর আশ্রয় হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগ্রহ করা ১ লাখ ৮৬ হাজার ১০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, কাপড় ও পানি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানিয়ে মন্ত্রণালয়।