কেশবপুর পৌর সংবাদদাতা
যশোর-চুকনগর সড়কের কেশবপুর শহরে প্রবেশপথে সড়কের উপর আবর্জনা স্তুপ করে রাখা হয়েছে। পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের এসব ময়লা-আবর্জনা সড়কের মধ্যকুল মাঝির পুকুর নামক ওই স্থানে ফেলায় রাস্তার প্রায় অর্ধেক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। তারপর বৃষ্টির পানিতে ভেসে পুরো রাস্তা দখল করছে ওই ময়লা। এতে ওই পথ দিয়ে চলাচলে দুর্ঘটনার শঙ্কার পাশাপাশি দুর্গন্ধে মানুষদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগ পৌরসভা থেকে সড়কের উপর ময়লা ফেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পৌরসভার মধ্যকুল মাঝির পুকুর এলাকায় সড়কের উপর ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এর আগে ওই স্থানের পাশের একটি জমিতে ময়লা ফেলা হতো। সড়কের উপর আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন চলাচলকারী মানুষ ও এলাকাবাসী।
উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের বাসিন্দা নিছার আলী বলেন, কেশবপুর বাজারে প্রবেশ পথে সড়কের উপর এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। রাস্তার প্রায় অর্ধেক পর্যন্ত ময়লা-আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধের তীব্রতায় পায়ে হেঁটে চলাচল হয়ে পড়েছে দায়। ভ্যানচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, দিনে কয়েকবার ওই স্থান দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রচণ্ড গন্ধে নাক চেপে চলতে হচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে ওই স্থান দিয়ে যাত্রীরা ভ্যানে যাতায়াত করতে চায় না।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নকারী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ময়লা ফেলার স্থানে গাড়ি ও ভ্যান দেবে যাওয়ায় ময়লা-আবর্জনা সড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে। রাতে ওই স্থানে থাকা একাধিক কুকুর ময়লা-আবর্জনা সড়কের উপর টেনে নিয়ে আসছে। এ কারণে কিছুটা ময়লা রাস্তার উপর চলে এসেছে। ময়লা সরানোর জন্য স্কেভেটর ভাড়া করা হচ্ছে। তাছাড়াও রাস্তার উপর থেকে ময়লা সরানোর জন্য পরিচ্ছন্ন কর্মী লাগানো হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে রাস্তা পরিস্কার হয়ে যাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর বলেন, ময়লা-আবর্জনার পঁচা দুর্গন্ধ নাক দিয়ে মানুষের পাকস্থলীতে গিয়ে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।