কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
কোটচাঁদপুরের জগন্নাথপুর শিশু সুরক্ষা কমিউনিটি হাবের সাইনবোর্ড বহন করছেন সংগঠনের এক শিশু। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দৃশ্য দেখা যায় উপজেলা প্রধান ফটকের সামনের সড়কে। যদিও বাচ্চাদের হাতে সাইনবোর্ড তুলে দেয়নি বলে দাযিত্ব এড়িয়েছেন ওই প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ইলিয়াস আহম্মেদ।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের তিন উপজেলায় একসিলারেটিং প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্পের আওতায় চারটি হাব পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি হাবে রয়েছে ২ জন পিআর লিডার ও ২ জন পিএফ। এখান থেকে পিআর লিডাররা সম্মানি পান ১ হাজার টাকা। বিনিময়ে শ্রম দিতে হয় সপ্তাহে ২ দিন। আর পিএফদের শ্রম দিতে হয় সপ্তাহে ৫ দিন। বিনিময়ে তারা পান ১ হাজার পাঁচশ’ টাকা বলে জানালেন হাবের প্রশিক্ষক ৯ ম শ্রেনীর ছাত্র পিয়াস হোসেন ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লাবনী খাতুন।
তারা বলেন, এখানে বাচ্চাদেরকে সচেতন করা হয়। বাচ্চারা এখানে এসে খেলা ধুলা করেন। অনেক লেখালেখিও করে থাকেন। বৃহস্পতিবার ওই হাবের বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ও ফেস্টুন ব্যানার দেয়া হয় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কোটচাঁদপুরের কার্যালয় থেকে। ওই সাইনবোর্ডে লেখা ছিল জগন্নাথপুর শিশু সুরক্ষা কমিউনিটি হাব। সেই সাইনবোর্ডগুলোই বহন করে নিয়ে যেতে দেখা যায় জগন্নাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিহাব হোসেন ও তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী লামিয়া খাতুনকে।
তিনি বলেন,আমাদের প্রতিটি হাবে ৪ জন করে কর্মী রয়েছে। অফিস থেকে তাদের হাতে এ সাইনবোর্ড তুলে দেয়া হয়। বাইরে নিয়ে গিয়ে তারা কার হাতে দিয়েছেন, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। একই সুরে কথা বলে দায়িত্ব এড়ালেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম। তিনি বলেন, শিশু শ্রম তো বাইরে সব জায়গায় হচ্ছে। সে তুলনায় তো এটা কিছুই না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, ঘটনাটি নিয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি আর কোন মন্তব্য করেননি।