বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে রোববার ছিল মনোয়নপত্র জমা প্রদানের শেষ দিন। এদিন মোট ৫৫ জন প্রার্থী তাদের মনোয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে দুটি প্যানেল থেকে থেকে ৫২ জন এবং স্বতন্ত্র থেকে ৩ জন মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে, অনুপস্থিত ভোটারদের মনোনীত ব্যক্তি দ্বারা ভোট প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য একটি প্যানেলের পক্ষে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন কাসেদুজ্জামান সেলিম ও এজাজ উদ্দিন টিপু। অন্য প্যানেলটি হলো ঠান্ডু ও বাপ্পি পরিষদ। এর মধ্যে রোববার কাসেদুজ্জামান সেলিম ও এজাজ উদ্দিন টিপু প্যানেলের পক্ষে জমা দিয়েছেন ২৫টি এবং শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু ও সেলিম রেজা বাপ্পি পরিষদ ২৭টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকি তিনজন হলেন স্বতন্ত্র। আগামী ১২ ডিসেম্বর এই সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর। ৭ বছর পর আবারও উৎসখমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে নির্বাচনী কমিশনের প্রধান করা হয়েছে যশোর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. মো: ইসহককে। কমিশনার হয়েছেন যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান ও প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর শাখার নির্বাচনে গঠিত নির্বাচন কমিশনার মিজানুর রহমান খান জানান, রোববার মনোনয়নপত্র জমা প্রদানের শেষ দিনে মোট ৫৫টি জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই বাছাই শেষে আগামী ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১ ডিসেম্বর।
এদিকে, অনুপস্থিত ভোটারদের মনোনীত ব্যক্তি দ্বারা ভোট প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য গতকাল সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে প্যানেল প্রধান এজাজ উদ্দিন টিপু নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর সার্কেলের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে নানা কারণে কিছু ভোটার কেন্দ্রে আসতে পারবেন না বলে আমরা জানতে পেরেছি। অনুপস্থিত ভোটারদের পক্ষে কোন মনোনীত প্রার্থীর ভোট প্রদান বন্ধ করতে হবে দাপ্তরিকভাবে। কেননা এ ধরনের ভোট প্রদান প্রক্রিয়ার সাথে আমরা পরিচিত না। এ প্রথা চালু করা হলে তা হবে সুষ্ঠু ভোটের অন্তরায়। এজন্য এই প্রথা বাতিল করে কমিশনকে ঘোষণা দেবার আহবান জানানো হচ্ছে।
মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি যশোর শাখার নির্বাচন জমে উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দুটি প্যানেল তাদের প্রচারণা শুরু করেছেন। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটারদের দোকানে গিয়ে ভোট যাচ্ছেন। অনেকে বাড়ি গিয়েও ভোট প্রার্থনা করছেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রধান এ্যাডভোকেট ইসহক জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরো কমিশন সভা করে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।