বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সপ্তাহব্যাপি যশোরের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। কমেছে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি। ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। আর বিক্রেতাদের বক্তব্য বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রির কোম্পানিগুলো গেল এক সপ্তাহ ধরে সরবরাহ করছে না। এজন্য বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি।
শুক্রবার শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বেড়েছে। ৫০০ মিলি থেকে ৮ লিটার বোতল জাত সয়াবিন তেলের চাহিদা থাকলেও অধিকাংশ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে তারা ১ ও ২ লিটার তেলের বোতলের সাথে এক কেজি পোলাও চাল প্যাকেজ আকারে বিক্রি করছেন। বাজারে খোলা ৩ ধরনের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। পাম অয়েল তেল কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৩ টাকা, সয়াবিন ১৮৫ টাকা, সুপার ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, বোতল জাত ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরা, পুষ্টি ও রুপচাঁদা কোম্পানির ৫০০ মিলি থেকে ৮ লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। কিছু কিছু দোকানি বোতল জাত সয়াবিন তেলের সাথে পোলাও চাল দিয়ে প্যাকেজ আকারে বিক্রি করছে। এক লিটার সয়াবিন তেল ও এক কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ৩২৭ টাকা। ২ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ও ১ কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৯৪ টাকা। চাল বাদে তেল কিনতে হলে লিটার বাড়তি ৭ থেকে ৮ টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তার।
বড় বাজারের সূর্য প্রদীপ স্টোরের খুচরা বিক্রেতা শম্ভু সাহা বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রির কোম্পানির লোক বাজারে তেল দিতে আসছে না। দোকানে যে বোতলজাত তেল ছিলো তার সাথে পোলাও চাল দিয়ে প্যাকেজ করে বিক্রি করতে হচ্ছে। তেলের সাথে চাল বিক্রির জন্য কোম্পানি থেকে বলা হয়েছে। সবার পোলাও চাল কেনার সমার্থ নেই। তখন বোতল জাত সয়াবিন তেলের লিটার বাড়তি ৭ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
বড় বাজারের জগন্নাথ ভান্ডারের পাইকারি বিক্রেতা জ্যোতিন পাল বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় থেকে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। খোলা তেলের দাম বাড়ার কারণে প্রায় দোকানদার বোতল খুলে তেল বিক্রি করছে। শীত যত বাড়বে তত বোতলজাত তেলের চাহিদা বাড়বে। বাজারের খোলা তেল শীতের কারণে জমে যায়। সামনে বোতলজাত তেলের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।
নওশের মোড়ল নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। অসাধু ব্যবসায়ীরা খোলা তেলের সাথে কম দামের পাম অয়েল মিশিয়ে এক নম্বর বলে বিক্রি করছে। তেল কিনে বাড়ি নিয়ে রেখে দিলে বোতলের ভিতরে সাদা সাদা জমাট বেঁধে যাচ্ছে। কোনো জিনিসের দাম বাড়ানোর দরকার হলে বাজারে সংকট তৈরি হয়। রাতারাতি দাম বেড়ে যায়। যে জিনিসের দাম একবার বাড়ছে তার দাম তো কমছে না। বড় বড় ব্যবসায়ীদের গোডাউনে অভিযান চালালো বোতলজাত তেলের সংকট তৈরির কারণ জানা যাবে।