বাংলার ভোর প্রতবেদক
যশোরের উপশহর ডি ব্লকে অবস্থিত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২১ শতক জমির উপর স্থাপত্যশিল্প ও নান্দনিক মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্যে শনিবার সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের তহবিল গঠন করতে এক লাখ টাকা অনুদান ধরে দুই হাজার শেয়ার করা হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মসজিদ নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হবে। সম্ভাব্য নির্মাণ সময় ধরা হয়েছে ৩ বছর। মসজিদের সাথে থাকবে মাদ্রাসা, ইমাম, মোয়াজ্জিন ও মসজিদের কর্মরত ব্যক্তিদের আবাসনের ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত এই মসজিদে গাড়ি পার্কিং, ওজুখানা, লাইব্রেরি, ঝর্ণাসহ প্রয়োজনীয় সূর্যের আলো ও তাপ সরাসরি ব্যবহারের সুবিধা থাকছে। লাল ও সাদা রংয়ের সংমিশ্রণে তৈরি মসজিদে সুউচ্চ সাদা রংয়ের একটি মিনার থাকবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় নির্দিষ্ট রং ধারণ করে থাকবে মিনারটি।
শনিবার বেলা বারোটায় অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মাসনা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইয়াহইয়া। মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মসজিদ নির্মাণ কমিটির উপদেষ্টা ও যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মিজানুর রহমান খান।
যশোর উপশহর এলাকার সন্তান ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এই সমজিদে আমি কুরআন শিখেছি। আজ মাওলানা মো. হানিফ হুজুর থাকলে কত খুশি হতেন। আমরা সবাই যে যার জায়গা থেকে আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করব।
প্রধান অতিথি মাসনা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইয়াহইয়া বলেন, একজন মাখলুক হিসেবে আল্লাহর ঘর নির্মাণ করার উপরে বড় সৌভাগ্য আর কিছু হতে পারে না। দুনিয়াতে সবচেয়ে দামি জায়গা হলো মসজিদ। আখিরাতের দামি জায়গা জান্নাত। আজ থেকে আমাদের ব্যবসার বড় পার্টনার বানাবো আল্লাহকে। লাভের একটা অংশ মসজিদ নির্মাণে বা আল্লাহর পথে ভালো কাজে ব্যয় করতে হবে। এলাকার সর্বসেরা সুন্দর মসজিদ নির্মাণের সাথে সাথে মসজিদের উদ্দেশ্য যেটা মসজিদ এলাকার মানুষগুলোকে সর্বসেরা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপশহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আখতারুজ্জামান।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, উপশহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান খান, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মাওলানা ফারুক হোসেন, দড়াটানা মাদ্রাসার মুহতামিম মুুফতি মুজিবুর রহমান, ওবাইদুল্লাহ সাদ, আর্চডেন্ট কনসালটেন্ট প্রিন্সিপ্যাল আর্কিটেক্ট মারুফ হুসাইন, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান, দৈনিক বাংলার ভোর সম্পাদক সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন জ্যোতি, উপশহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আজগর হোসেন, সাবেক ফুটবলার কাজী জয়নাল, কাজী জামাল হোসেন, উপশহর বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ কচি, সাবেক ইউপি সদস্য এহসানউল্লাহ প্রমুখ।