বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেলার চতুর্থ প্রত্নঢিবি হিসেবে সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের সালতা গ্রামের সালতাপীরের ঢিবি নামে পরিচিত প্রত্নস্থানে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হচ্ছে। যশোর সদর উপজেলার ইউএনও শারমিন আক্তার প্রধান অতিথি হিসেবে খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক দপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিনের নেতৃত্বে গঠিত ৮ সদস্য বিশিষ্ট অভিজ্ঞ খনন টিম বাস্তব খননকার্য পরিচালনা ও তদারক করবে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে যশোর জেলার সদর উপজেলায় পরিচালিত প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধানে কাশিমপুর ইউনিয়নের সালতা গ্রামে মাঝারি আকৃতির উচ্চতা বিশিষ্টি প্রত্নঢিবি হিসেবে সনাক্ত করে। ১৯৬৮ সালের প্রত্নসম্পদ আইন অনুযায়ী এ-র প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব পরিলক্ষিত হওয়ায় ঢিবিটিকে প্রত্নতাতাত্ত্বিক জরিপ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। খননে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তু নথিভুক্ত করণের ক্ষেত্রে তারা বিশ্ব স্বীকৃত হ্যারিস ম্যাট্রিক্স পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন প্রত্নঢিবি সম্পর্কে জানান, প্রাথমিকভাবে ঢিবির নীচে আদি ঐতিহাসিক থেকে আদি মধ্যযুগের বিলুপ্ত সাংস্কৃতিক নিদর্শন লুক্কায়িত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। খননে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তু, বিলুপ্ত স্থাপত্যকাঠামো পুনরুদ্ধার, স্তরবিন্যাস সমীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে আপেক্ষিক সময়কাল নির্ধারণের পাশাপাশি ঢিবির পরম সময় কাল নির্ধারণের লক্ষ্যে প্রত্নস্থান থেকে কার্বন-১৪ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরীক্ষামূলক খননে প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে এখানে ধারাবাহিক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।