বাংলার ভোর প্রতিবেদক
প্রতারণা মামলায় যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ সাজা দেন। সাজাপ্রাপ্ত হায়দার গণি খান পলাশ শহরের ঘোপ পিলুখান সড়কের বাসিন্দা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৪ সালের শেষ দিকে হায়দার গণি খান পলাশ উপশহর এফ-ব্লকের ৮৩/১ বাড়ির ২ দশমিক ৯৩ শতক জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এ সংবাদ জানতে পেরে এফ-ব্লকের ১১১ নম্বর বাড়ির আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন জমি ক্রয়ের জন্য হায়দার গণি খান পলাশের সাথে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দাম ঠিক করেন। ওই বছরের ৯ অক্টোবর হায়দার গণি খান পলাশ ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে একটি এফিডেভিট করে দেন। সুফিয়া খাতুন সরল বিশ্বাসে বাকি ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেন হায়দার গণি খান পলাশকে।
হায়দার গণি খান পলাশ জমির সমুদয় টাকা গ্রহণ করে জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন।
একপর্যায়ে হায়দার গণি খান পলাশ ২০০৫ সালের ১৪ মার্চ এফিডেভিটের মাধ্যমে একটি আমমোক্তারনামা করে জমির দখল বুঝিয়ে দেন সুফিয়া খাতুনকে। সুফিয়া খাতুন এ জমির দখল পেয়ে বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেন।
কয়েক মাস যেতে না যেতে হায়দার গণি খান পলাশ ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জোর করে ভাড়া আদায় শুরু করেন। ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি এক সালিসে হায়দার গণি খান পলাশ জমির দখল ছাড়বেনা বলে জানিয়ে চলে আসে। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে সুফিয়া খাতুন ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি হায়দার গণি খান পলাশকে আসামি করে আদালতে প্রতারণা মামলা করেন।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি হায়দার গণি খান পলাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত হায়দার গণি খান পলাশ পলাতক রয়েছে।