বাংলার ভোর প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মব জাস্টিস আর অ্যালাউ (অনুমোদন) করা যাবে না। অনেক হয়েছে। কারও কোনো কিছু বলার থাকলে আইনের আশ্রয় নেবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।’
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে যশোরের সশস্ত্র বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন। যশোর জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে এ মতবিনিময় সভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার সব এখনো আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। যত দ্রুত সম্ভব এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।’
জামিনে দাগি সন্ত্রাসীদের মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘অনেক বড় বড় সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের আরও বেশি কেয়ারফুল হতে হবে। জামিনের বিষয়টা তো আমাদের হাতে নেই। জজরা বিচার-বিবেচনা করে জামিন দিচ্ছেন।’ এ বিষয়ে আদালতের পিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সরকারি আমলাদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অরাজনৈতিক সরকার। আমাদের কাছ থেকে আপনারা বেশি সুবিধা নিতে পারেন। চাকরির পোস্টিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অনুরোধ-তদবির অ্যাভয়েড (এড়াতে) করতে পারি। শতভাগ হয়তো পারিনি। তবে যতটা সম্ভব, আমরা অনুরোধ না রাখার চেষ্টা করছি। থানার ওসি যেন ঘুষ না খায়, সেটা আপনারা দেখবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়ের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আত্মীয় পরিচয়ে কেউ কোনো সুবিধা নিতে গেলে প্রথমবার চা খাওয়ায়ে বিদায় করবেন। দ্বিতীয়বার পুলিশে সোপর্দ করবেন। কোনো রিকোয়েস্ট থাকলে আমি নিজে ফোন করব।’
মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মাদক। ১৫ হাজার বোতল ফেনসিডিল ছাইড়া দিয়ে ৫০০ বোতল রিকভার (উদ্ধার) দেখান, এটা বন্ধ করতে হবে। মাদক নিয়ে লুকোচুরি করলে চাকরি থাকবে না। আমরা নিরাময়কেন্দ্র খুলতে চাই না, মাদক বন্ধ করতে চাই। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর পুলিশে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বদলি বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
এ সময় তিনি ওসিদের ঘুষ নেয়া বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তদবির প্রথা এখনো বন্ধ হয়নি, অনেকেই তদবির করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিরোনাম:
- যশোর থেকে কালীগঞ্জে এসে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে যশোরে সংহতি মিছিল ও সমাবেশ
- যশোরে মহান মে দিবস পালনে প্রস্তুতি সভা
- ক্রেতা খরায় ভুগছে যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য মেলা
- যশোরে ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতার দলীয় পদ স্থগিত
- বিএনপি পরিচয়ে যশোরে চাষীর ধান লুট
- শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার্জ গঠন ॥ সাক্ষ্য গ্রহণ ২৭ এপ্রিল
- ঝিকরগাছায় আ.লীগের আরো দুই নেতা গ্রেফতার