বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শার বেলতলা আম বাজার থেকে অপরিপক্ক ৬২ ক্যারেট গোবিন্দভোগ আম বোঝাই একটি আলমসাধু আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে শার্শা থানা পুলিশকে খবর দিলে অপরিপক্ক আম বোঝাই আলমসাধুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আলমসাধুর ড্রাইভার ও একজন অসাধু আম ব্যাবসায়ী মোট দু’জন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
তবে অভিযোগ উঠেছে দিনভর নাটকীয়তার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম রবিউল ইসলাম কোন প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে জব্দকৃত অপরিপক্ক ৬২ ক্যারেট আম, বহনের কাজে ব্যবহৃত আলমসাধু, আলমসাধুর ড্রাইভার ও অসাধু আম ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়েছে। যে কারণে সচেতন মহল ও স্থানীয় জনতার মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
আম বাজার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল সকালে একজন অসাধু আম ব্যবসায়ী গাছ থেকে ৬২ ক্যারেট অপরিপক্ক গোবিন্দভোগ আম আলমসাধুযোগে বেলতলা বাজারে নিয়ে আসলে প্রথমে স্থানীয় জনতার নজরে পড়ে। আমগুলো পাকার অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয় জনতা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে অপরিপক্ক আম, একটি আলমসাধু, আলমসাধুর ড্রাইভার ও ওই অসাধু আম ব্যবসায়ীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে অজানা কারণে অপরিপক্ক আম, আলম সাধু, ও দু’জন ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম. রবিউল ইসলাম জানান, জব্দকৃত আম, আলমসাধু, ড্রাইভার ও আমের বেপারিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমিত নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, আম জব্দের বিষয়ে ওসি আমাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে কি করেছেন তা জানাননি। তিনি আরো জানান, এখনো গোবিন্দভোগ আম পাকার সময় হয়নি। তবে যদি কোন গাছের আম অগ্রিম পাকে সে ক্ষেত্রে ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আম পাড়তে পারবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, আম জব্দ বিষয়ে ওসি আমাকে জানালে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছিলাম। পরে বিষয়টি কি হয়েছে আমাকে জানাননি। তিনি আরো জানান, যদি কোন ব্যক্তি অপরিপক্ক আম কার্বাইড অথবা ক্ষতিকর রাসায়নিক কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।