বাংলার ভোর ডেস্ক
‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে পরিচালিত অভিযানে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন। তিনি বলেন, ‘ইরানে হামলার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বি-২ বোমারু বিমান স্থানীয় সময় শুক্রবার উড্ডয়ন করে। ১৮ ঘণ্টা ফ্লাই শেষে সেটি লক্ষ্যস্থানে আঘাত হানে।’ রোববার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান কেইন। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কেইন জানান- যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একাধিক শাখা পরিকল্পিত ও সমন্বিতভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
ইরানে হামলা চালানোর সময় দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিরোধ আসেনি বলে উল্লেখ করেন জেনারেল কেইন। তিনি বলেন, ‘ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে গুলি ছোড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’
মার্কিন এই জেনারেল আরও বলেন বলেন, ‘ইরানের যুদ্ধবিমান আকাশে ওড়েনি। মনে হচ্ছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমাদের শনাক্ত করতে পারেনি।’
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর পেন্টাগনে ব্রিফিং সংবাদ শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। শুরুতেই তিনি জানান, শনিবার রাতের হামলা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ‘হ্রাস’ এবং ‘ধ্বংস’ করার পরিকল্পনা নিয়েই চালানো হয়েছিল। এ হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বলে দাবি করেন হেগসেথ। তবে এতে ইরানের সেনা বা বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়নি বলেও জানান তিনি।
হেগসেথ বলেন, অনেক প্রেসিডেন্টই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে চূড়ান্ত আঘাত হানার স্বপ্ন দেখেছেন। কিন্তু ট্রাম্প ছাড়া কেউই তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। সেকারণে ইরানে এই অভিযানকে ‘সাহসী ও দুর্দান্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
হেগসেথ আরও বলেন, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কথা বলেন, তখন বিশ্বের তা শোনা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর কোনও দেশই একাজ করতে পারত না।
ইরান পাল্টা আঘাত হানলে আরও বেশি শক্তি দিয়েই তা মোকাবেলা করা হবে বলেও সতর্ক করেছেন পিট হেগসেথ।
গত রাতে ট্রাম্পের একটি স্যোশাল মিডিয়া পোস্ট পড়ে শুনিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, কোনও পারমাণবিক অস্ত্র নয়, তিনি শান্তি চান। ইরানের সে পথই অবলম্বন করা উচিত।
ইসরায়েল ১৩ জুন ভোর রাতে ইরানে হামলা করে। এই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানী ও উর্দ্ধতন সামরিক কর্মকাতা নিহত হন। এর জবাবে ইসরায়েলে হামলা শুরু করে ইরান। এরপর থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।
মার্কিন হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর ইরান তাদের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি এই হামলার কিছু ফুটেজ প্রচার করেছে। এতে দাবি করা হচ্ছে, ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্রটি আজকের হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলে কমপক্ষে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে খোররামশহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে এবং প্রায় ১ হাজার ৫০০ কেজির ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ করা হয়েছে ১৯৮০-এর দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় ভয়াবহ লড়াইয়ের সাক্ষী ইরানের ‘খোররামশহর’ শহরের নামে। এটি খাইবার (কযবরনধৎ) নামেও পরিচিত, যা সপ্তম শতাব্দীতে দখল করা একটি ইহুদি দুর্গ (বর্তমানে সৌদি আরবে) থেকে নামকরণ করা হয়েছে।
খোররামশহর-৪ বা খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানের চতুর্থ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি শব্দের গতির চেয়ে ১৬ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এবং শব্দের গতির চেয়ে ৮ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ভেতরে চলতে সক্ষম। উচ্চ গতি এবং কৌশলগত সক্ষমতার জন্য এটিকে শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন।
ইসরায়েলের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, সকালে মার্কিন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
তেল আবিবের উত্তরাঞ্চলের একটি বেসামরিক এলাকায় এই হামলা হয়। একটি শপিং সেন্টার, একটি ব্যাংক, একটি সেলুনসহ বেশ কিছু স্থান ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান, ভাঙা গেট এবং রাস্তার ওপর কাচের টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তাঁর দোতলা বাড়িটি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, তবে তিনি অক্ষত আছেন; কারণ, তিনি মায়ের বাড়িতে ছিলেন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেখা গেছে। কিছু রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে এবং রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য আর্থমুভার মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন: চীন
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় গতকাল শনিবার মধ্যরাতের পর বোমা হামলায় চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে চীন। রোববার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অবিলম্বে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কার্যকলাপ জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য, নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। এই হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানে মার্কিন হামলা এবং আইএইএ’র নিরাপত্তার তত্ত্বাবধানে থাকা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমাবর্ষণের কঠোর নিন্দা জানায় চীন।
চীন সব পক্ষ—বিশেষ করে ইসরায়েলকে দ্রুত যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বেইজিং বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে চীন; যাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর মোদির সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোববার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক এই অস্থিরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদি অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো এবং সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ৪৫ মিনিটের এই ফোনালাপের উদ্যোগ এসেছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরেই তিনি এই উদ্যোগ নেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন এবং ভারতকে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে ‘ঘনিষ্ঠ মিত্র ও অংশীদার’ হিসেবে অভিহিত করেন। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ভারতের অবস্থানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানান এবং উত্তেজনা কমানো, সংলাপ ও কূটনীতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি সাম্প্রতিক উত্তেজনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছি।’
এই ফোনালাপ হয়েছে এমন এক সময়, যখন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—নাতানজ, ইস্পাহান ও মাটির নিচে অবস্থিত ফোরদোতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদেশগুলোর দাবি, ইরান যেকোনো মুহূর্তে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। অনেক দেশকে এমনও বলতে শোনা গেছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে।
রোববার স্থানীয় সময় ভোরে ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় কমপক্ষে ছয়টি বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান হামলা চালায়। এ ছাড়া নাতানজ, ইস্পাহানে আঘাত হানে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ইরানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য এমন ট্র্যাজেডি অপেক্ষা করছে, গত আট দিনে আমরা যা দেখেছি, তার চেয়ে ভয়াবহ হবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান এই সংঘাত কোনো কারণে বেড়ে গেলে ভারত ও পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যেমন ইরাক, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনের বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
২০২৫ অর্থবছরে ভারতে ইরানের রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে বাসমতী চাল (৭৫৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার), কলা (৫৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার), সয়া মিল (৭০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার), ছোলা (২৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার) এবং চা (২৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার) ছিল প্রধান পণ্য। গত অর্থবছরে আমদানি ছিল ৪৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের রপ্তানি ছিল ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ছিল ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার (২০২৪-২৫)। এর থেকে বোঝা যায়, ভারত ইসরায়েল ও ইরান—উভয় দেশের সঙ্গেই শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া সাম্প্রতিক এই সংঘাত লোহিতসাগর দিয়ে কার্গো চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, হুতি বিদ্রোহীরা বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। গত বছর ইয়েমেনভিত্তিক হুতি জঙ্গিদের আক্রমণের কারণে বাব-এল-মান্দেব প্রণালির (লোহিতসাগর ও ভূমধ্যসাগরকে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ শিপিং রুট) পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল।
ইউরোপের সঙ্গে ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ পণ্য বাণিজ্য লোহিতসাগর দিয়ে হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাণিজ্য এই পথেই চলে। এই দুটি অঞ্চল থেকে ভারতের মোট রপ্তানির ৩৪ শতাংশ আসে। লোহিতসাগর বৈশ্বিক কনটেইনার ট্রাফিকের ৩০ শতাংশ এবং বিশ্ববাণিজ্যের মোট ১২ শতাংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) ইতিমধ্যে জানিয়েছে, শুল্কযুদ্ধের প্রভাবে ২০২৫ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্য ২ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধির পরিবর্তে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমবে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কীভাবে তাদের কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা পালন করবে, তাই এখন দেখার বিষয়।