বাংলার ভোর প্রতিবেদক
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বাংলা আবশ্যিক প্রথম পত্রের মাধ্যমে একযোগে শুরু হবে পরীক্ষা। যশোর শিক্ষাবোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে ৬ হাজার ১৯৪ জন। বেড়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির অভাবে অংশগ্রহণকালী কমেছে বলে ধারণা বোর্ড সংশ্লিষ্টদের। আর অনিয়ম ও নকল বন্ধে ভেন্যু ব্যবস্থা বন্ধ করায় এবার বেড়েছে কেন্দ্রের সংখ্যা। সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের সাবিক প্রস্তুতি নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২শ’ গজের ভিতরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিশুরা শ্রুতিলেখক ও অতিরিক্ত সময় পাবেন।
জানতে চাইলে যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আবদুল মতিন বলেন, প্রতিবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম বেশি হয়। এবছর পরীক্ষা কমেছে। এটা অস্বাভাবিক মনে হয়নি। গত বছর আন্দোলন সংগ্রামে ছিল শিক্ষার্থীদের অনেকেই। এজন্য হয়ত ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেননি, প্রস্তুতির অভাবে অনেকে পরীক্ষায় নিচ্ছেন না। আগামীতে ভাল প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিবেন।’
তিনি আরও বলেন, নকল ও অনিয়ম বন্ধে এ বছর ভেন্যু ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। এজন্য কয়েকটি কেন্দ্র বেড়েছে। সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডে অধীনে খুলনা বিভাগের ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষা অংশ নিচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার ১৯৪ জন কম। এ বছরে কেন্দ্রের সংখ্যা ৮টি বেড়ে ২৪০টি হয়েছে। বোর্ডে এবার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) ১৩৪ পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে অতিরিক্ত ২০ মিনিট পাবেন। ১২০ পরীক্ষার্থী শুধুমাত্র অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবেন। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২শ’ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নকলমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে একাধিক ভিজিল্যান্স টিম দায়িত্ব পালন করবে।
এছাড়া, পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসনের লক্ষ্যে কেন্দ্রসমূহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী পরে প্রবেশ করলে রেজিস্ট্রারে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করতে হবে। এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো কক্ষে পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হলে, যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে. পরীক্ষার্থীদের ততটুকু সময় প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।