বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কমলা রঙের সালোয়ার কামিজ পরিহিত এক নারীকে নিয়ে টানাটানি করছেন চল্লিশোর্ধ্ব দুই ব্যক্তি। তারা ওই নারীকে নিজের স্ত্রী দাবি করছেন। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। দুজনের টানাটানি ও হাতাহাতি দেখতে উৎসুক মানুষের জটলা। মঙ্গলবার দুপুরে এই দৃশ্য দেখা যায় যশোর শহরের চারখাম্বার মোড়ে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তিন জনকেই নিয়ে যান থানায়। আর সেখানেই শুরু হয় চরম উত্তেজনা। থানা চত্বরেই তারা কয়েক দফা নিজেদের মধ্যে শুরু করেন টানাটানি হাতাহাতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ওই তিনজনকেই ১৫১ ধারায় (নিরাপদ হেফাজত) মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিন ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের কানাইপুরের এলাকার বিকাশ অধিকারী, ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডু ও একই এলাকার সীমা অধিকারী।
পুলিশ ও ভুক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুরের কানাইপুরের বাসিন্দা বিকাশ অধিকারী, যার সঙ্গে সীমা অধিকারীর প্রায় ৩৬ বছরের সংসার। এই সংসারে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। কিন্তু সেই সাজানো সংসার ছেড়ে সীমা অধিকারী সম্প্রতি ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, বিকাশ অধিকারীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে পলাশের হাত ধরে তিনি ভারতে চলে যান এবং সেখানে তারা বিয়েও করেন। এরপর সোমবার রাতে তারা যশোরে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিকাশের সন্দেহ হয় এবং তিনি সেই হোটেলে যান। এরপরই ত্রিমুখি এই ঝামেলা গড়ায় থানা পর্যন্ত।
এসময় দ্বিতীয় স্বামী পলাশ কুন্ডু জানান, সীমার সঙ্গে তার তিন বছরের সম্পর্ক। তারা দুজনেই স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এবং এখন একসাথে থাকতে চান। কিন্তু তাদের পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিকাশ। স্ত্রী সীমা অধিকারী বলেন, বিকাশের সংসারে তিনি নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাধ্য হয়ে বিকাশকে ছেড়ে পলাশকে বিয়ে করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি আর বিকাশের সঙ্গে সংসার করবেন না।
প্রথম স্বামী বিকাশ অধিকারী দাবি করেন, সীমার পরকীয়ায় কারণে তাদের সাজানো সংসার ভেঙে যাচ্ছে। সীমা শুধু বাড়ি ছাড়েননি, বরং পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও গয়নাও নিয়ে গেছেন। তিনি সীমাকে যেকোনো মূল্যে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে চান।
এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল জানান, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় দীর্ঘক্ষণ তাদের সঙ্গে কথা বলেও কোন সিন্ধান্তে আসা যায়নি। পরে ১৫১ ধারায় তাদের আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে তাদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।’
যশোর আদালতের কোট পরিদর্শক রোকসানা খাতুন বলেন, ‘সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক শান্তনু কুমার মন্ডল তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
শিরোনাম:
- বিএসপির সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত
- যশোরে মার্কস অলরাউন্ডারের আঞ্চলিক বাছাই অনুষ্ঠিত
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে যশোরে মানববন্ধন
- নওয়াপাড়ায় বোমা হামলার রহস্য উদঘাটন : আটক ৩
- গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরাইয়েলি হামলার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ
- শার্শায় সালিশে বিএনপির ৫ কর্মীকে পিটিয়ে জখম
- ভক্তের চোখের জলে দেবীদুর্গার বিদায়, বিসর্জনে লালদীঘিতে ঢল
- ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করবে বিএনপি মিজানুর রহমান খান