বাংলার ভোর প্রতিবেদক
খাগড়াছড়িতে অবরোধ কর্মসূচিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সোমবার বিকেলে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট জেলার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সংহতি প্রকাশ করে জেলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বিগত কয়েকদিন থেকে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন। কিন্তু সরকার থেকে কোনো সাড়া পাননি। তার পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ অবরোধে আদিবাসীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অথচ সরকার নীরব ভূমিকা পালন করেছে। ধর্ষণের মতো মানবিক ইস্যুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পার্বত্য এলকায় সেনাবাহিনীবিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। খাগড়াছড়ির গুইমারাতে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করা হয়েছে। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা করা হয়েছে। নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালানো হয়েছে। এগুলো সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার নকশা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনতেই হবে। কিন্তু এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে ন্যায়বিচার নয়, বরং রাষ্ট্রবিরোধী রাজনীতির লক্ষ্যেই তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ের সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধের দাবি করেন তারা। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি যশোরের সভাপতি আবু হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সম্পাদক তসলিম উর রহমান, সিপিবি যশোরের সহ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, বাসস নেতা আলাউদ্দিন, সাংস্কৃতিক কর্মী নওরোজ আলম খান চপল, রিয়াদুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সাবেক আহ্বায়ক রাশেদ খান।