কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. আমানুল্ল্যাহর অপসারণ দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। মঙ্গলবার সকালে অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস।
অধ্যক্ষ আমানুল্ল্যাহকে নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী, দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে এদিন সকালে তিনি কলেজে আসার সাথে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের একপ্রকার চাপা দিয়ে তিনি মোটরকাইকেলে করে পালিয়ে যান।
সরেজমিনে দেখা যায় অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হ্যাণ্ডমাইক ও হাতে প্লেকার্ড নিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম তুলে ধরে স্লোগান দেয়াসহ সকল দাপ্তরিক কাজ বন্ধ করে দেন।
আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকা শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান জানান অধ্যক্ষ আমানুল্ল্যাহ একজন নাস্তিক ও সমকামি লোক। তিনি নিজের লেখা বই, ফেসবুক পোস্ট ও কলেজের ক্লাসে নানা কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছেন। এমনকি তিনি কলেজ ক্যাম্পাসে সমকামিতায় জড়ানোর পাশাপাশি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নবী বলে প্রচার এবং বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এমন মানুষকে আমরা আর অধ্যক্ষ হিসেবে দেখতে চাইনা। আলী হোসেন নামে অপর শিক্ষার্থী জানান অধ্যক্ষ আমানুল্ল্যাহ একজন শাহাবাগি, ফ্যাস্টিট ও নাস্তিক তাই তার এ কলেজে থাকার সুযোগ নেই। তাকে পদত্যাগ করতেই হবে, তিনি লিখিতভাবে পদত্যাগ না করলে আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রায় ৭ মাস আগে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর কে.এম.এইচ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকে তিনি কলেজের ক্লাস রুম দখল করে সংসার পাতা, অফিসের এসি খুলে নিজ রুমে লাগানো, কলেজের গাছ কর্তন, পুকুর দখল, ক্লাসে ছাত্রীদের সামনে কুরুচিপূর্ণ আলোচনা ও সমকামিতার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শেখ মো. আমানুল্যাহ তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কলেজের উন্নয়ন করতে গিয়ে একটি মহলের ষড়ষন্ত্রের শিকার হয়েছি। আপনারা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলে দেখেন আদৌ আমার কোন দোষ আছে কিনা।

