বিবি প্রতিবেদক
যশোরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত। সূর্যের দেখা মিলছে না দিনের বেশির ভাগ সময়। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষ। এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, মাঘের প্রথম দিকেও এ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাত থেকেই সারাদেশে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যশোরে ঘন কুয়াশা কমে যায়। রোববার দুপুর সাড়ে ১১টা নাগাদ সূর্য উঁকি দেয় যশোরে। এর আগ পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। এ কারণে কনকনে শীতে যশোরাঞ্চলের জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। চরম দুরাবস্থায় দিনপার করছেন গরীব মানুষেরা।
গতকাল সকালে যশোর শহরের রেলস্টেশন এলাকায় কথা হয় ভ্যানচালক নুরুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গ্যালোবারের চাইতি এবেড্ডা শীতটা বেশি মনে হচ্চে। দুটো পয়সা ইনকামের জন্নি বাজারে আসলিউ সেরাম প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্চে না।’ স্টেশন এলাকার মাছ বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পানি বরপের মতো ঠান্ডা। ঘেরে লাবলিই জমে যাওয়ার মতন অবস্তা। তাই এক-দু দিন পরপর মাছ ধরতি যাচ্চি। ডেলি ঘেরে লাবলি ঠান্ডায় মইরে যাতি হবে।’
দড়াটানা এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক আলেক মিয়া বলেন, ‘খবরে শুনলাম এক সপ্তাহ থাকি খুব শীত পড়বে। রাতে ও সকালে বৃষ্টির মতো শীত (কুয়াশা) পড়েছে। ঠান্ডায় হাত-পা হিম হয়া যায়। বাড়ির ছয়জন মানুষ রিকশার কামাইয়ের ওপর চলে। এক দিন কামাই (কাজ) না করলে পরের দিন চুলোতে আগুন জ্বলে না। আর কয়দিন ঠান্ডা থাকপেনে আল্লায় জানে।’ শহরের পুলিশ লাইন এলাকার রিকশা চালক তরুন বলেন, ‘পেটের তাগিদে ঘরের বাইরে বের হতে হয়েছে। পেটে ভাত না থাকলে শীত, গরম আর বর্ষায় কী আসে যায়। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি কম। ঘুরে ঘুরে তেমন একটা ভাড়া হচ্ছে না। অলস সময় পার করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’
যশোর বিমান বাহিনী নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বলেন, ‘যশোরের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। সূর্য না উঠায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পৌষের শেষ দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হল, ফলে মাঘ মাসেও শীত থাকতে পারে।’ এদিকে হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে।
শিরোনাম:
- একই সঙ্গে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুলের নজিরবিহীন দুর্নীতি
- অভয়নগরকে হারিয়ে ফাইনালে কালীগঞ্জ
- অফিস সহকারী পদে হেলালের এমপিওভুক্তি নিয়ে লুকোচুরি
- শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো শিক্ষক দরকার
- উপশহর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত
- ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে’
- যশোরে নতুন আঙ্গিকে ব্রাদার্স ফার্নিচার শো রুম উদ্বোধন
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস