বাংলার ভোর প্রতিবেদক
পুলিশের এএসপি ফখরুল হাসান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা ভূমি দখল, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দায়েরসহ নানা অপকর্মের তদন্তে নেমেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার।
তারই সূত্র ধরে শনিবার যশোর পুলিশ অফিসে তদন্তের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক স্মারকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই স্মারকে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ভুক্তভোগীদের যশোর পুলিশ অফিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের স্মারক নং-৪৪.০১.০০০০.১০১.৩৮.২৭৩.২৪/
মাঠ তদন্তের পাশাপাশি এদিন ভুক্তভোগীদের অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়। একইসাথে নেয়া হয়েছে জবানবন্দিও।
বিতর্কিত সনদে মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় ৩৭ তম বিসিএস’এ পুলিশ ক্যাডার হিসেবে যশোরের ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগরের ফখরুল হাসান এবং তার বোন বেনজির বিউটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে ওই পরিবারটি। দখল, লুটপাটে মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে ডুপ্লেক্সসহ অন্তত ৬টি বহুতল ভবন, গোডাউন আর বিপুল ভূসম্পত্তির মালিক বনে যান তারা।
আর এলাকায় থেকে এসব নিয়ন্ত্রণ করতেন ফখরুলের বড় ভাই জেলা শ্রমিকলীগের সহসভাপতি ইকবাল এবং তার পিতা বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। আর এসকল ঘটনা তুলে ধরতে যেয়ে গত ২০ নভেম্বর এএসপি ফখরুলদের লেলিয়ে দেয়া যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী অভি ইসলাম প্রান্ত বাহিনীর হামলার শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক জিয়াউল হক ও ভিডিওগ্রাফার শরিফ খান।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, আমরা ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি। আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।