বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। পিঠা উৎসব উপ-কমিটির আহবায়ক মহসীন হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আখতার হোসেন।
অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে পেরে আমরা খুশি। প্রতিবছর এমন আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।
এদিকে, সোমবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। কেউ বা শাড়ি পরে পিঠার পাত্র হাতে আবার কেউবা পাঞ্জাবি পরে স্টল সাজাতে ব্যস্ত। ২২টি স্টলে কলেজের প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা হরেক রকমের পিঠা উপস্থাপন করেন। নান্দনিক সব পিঠার পসরায় মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা। মেলায় সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় পিঠা ছিল হৃদয়হরণ, চিতই, দুধপুলি, ভাজাকুলি, মালপোয়া, মিষ্টিকুমড়া পিঠা, চিকেন মোমো, সূর্যমুখী পিঠা, ছিড়ারুটি, তেজপাতা পিঠা, গোলাপ পিঠা, জামাই পিঠা, দুধ পুন্দিয়া, পাকান পিঠা, রস পিঠা। বাহারি নামের এই সব পিঠা খেতে ভিড় করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অনেক দিন পর ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনের কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে এক ধরণের মেল বন্ধন তৈরি হচ্ছে।
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, পিঠা উৎসবে তাদের বিভাগ থেকে পিঠা পরিবেশন করা হচ্ছে। সীমিত লাভে তারা নিজেদের তৈরি পিঠা বিক্রি করছেন। এটা শুধু পিঠা বিক্রির জন্য উৎসব নয়। বরং তারা বিভাগের সিনিয়র জুনিয়র ও কলেজের শিক্ষকদের সাথে সুন্দর ও আনন্দঘন একটি সময় পার করছে।
পিঠা উৎসবে আসা তাহসিনা স্নিগ্ধা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, পিঠা বাসায়ও খাওয়া হয়। কলেজে পিঠা উৎসব নতুন। এখানে এসে অনেক ধরণের অনেক নামের পিঠা দেখতে পেলাম। বন্ধুরা মিলে কিছু কিছু পিঠা কিনে খেয়েছি। আসলে স্বাদের চেয়ে আনন্দটাই বড়। অনেক দিন পর সবার সাথে দেখা হচ্ছে। গল্প হচ্ছে, অড্ডা হচ্ছে। অনেক সুন্দর একটা সময় কাটলো। আমরা খুশি আর কলেজ প্রশাসনকে ধন্যবাদ এমন আয়োজনের জন্য।
বোনের সাথে আসা পিঠা উৎসবে আসা শিশু ফাহিমা খাতুন বলে, আপুর সাথে পিঠা উৎসবে এসেছি। এখানে অনেক পিঠা সাজানো। মনে হচ্ছে পিঠার মেলা বসেছে। জামাই পিঠা আর হৃদয় হরণ খেয়েছি।