# বর্তমানে দেশে মাছের উৎপাদন ৪৯ লাখ মে. টন
# ২০২৮ সালে ৭০ লাখ মে. টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
দেশে মাছের উৎপাদন ৩০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি মৎস্য খামার আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের ৫৬ জেলার বিদ্যমান ১১৩টি সরকারি মৎস্য হ্যাচারি ও খামারে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৎস্য উৎপাদন বাড়ানো হবে। এজন্যে সরকারের রাজস্ব খাত থেকে প্রায় ৩৭২ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প চলমান থাকবে। বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) আওতায় জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে যশোর শহরের লাক্সারি ডাইন কনভেশন হলে দিনব্যাপি এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ২০২৮ সালে দেশে মাছের উৎপাদন ৭০ লক্ষ মেট্রিট টনে উন্নিত হবে। যা এখন আছে ৪৯ লাখ মে. টন। যে এলাকায় সরকারি খামারের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে সেই এলাকায় মাছের উৎপাদন শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পাবে। এতে বেসরকারি পর্যায়ের মৎস্য উদ্যোক্তারাও লাভবান হবেন। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়ে যাবে। আমিষের ঘাটতি পূরণ হবে’।
কর্মশালায় অংশ নেয়া মৎস্য উদ্যোক্তারা বলেন, প্রকল্পটি যেন টাকা তছরুপের আরেকটি খাত না হয়। কারণ, কয়েক বছর আগে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পোনা বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় মৎস্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নেওয়া হয়নি। যে কারণে জনগণের টাকায় নির্মিত প্রকল্পটি পড়ে রয়েছে। তা আজও কার্যকর হয়নি। সত্যিকার অর্থে মাছের আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও মৎস্য উদ্যোক্তাদের কল্যাণে যেন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়।
জেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মশিউর রহমান। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরকার মুহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তর খুলনার উপ পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আনোয়ার কবির।