ঝাঁপা সংবাদদাতা:
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রামপুর গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক যুবক পাহারাদারদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে বাঁওড়ের মাছ লুট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাঁওড় মালিক ও ওই যুবকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মণিরামপুরের ঝাঁপা বাঁওড় ইজারাদার মালিক মোবারকপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের মাধ্যমে জানা যায়, রামপুর গ্রামের ওই সকল যুবকসহ অন্যরা বাঁওড়ের গতবারের ইজারা মালিক ছিলেন। এবার বাঁওড় ইজারা না পাওয়ায় বর্তমান ইজারা মালিকদের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে বাঁওড় ব্যবসাকে ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা আটতে থাকে। রামপুর গ্রামের কাদের ও সেলিমের নেতৃত্বে জুলাই মাসের শুরু থেকে গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক যুবকদের দিয়ে বাঁওড়ের পাহাদারদের ভয়ভীতি, হুমকি ধামকি ও ইটপাটকেল মেরে তাড়িয়ে দিয়ে নেটজাল, কারেন্টজাল, খেপলাজাল ও নেতড়া দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে গত ১২ জুলাই দুপুরে মালিক পক্ষের সাথে মাছ লুট করতে আসা ওই সকল যুবকদের বাকবিতন্ডা ও গোলযোগের সৃষ্টি হয়। মালিক পক্ষ বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এরং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনেন। একই সাথে জোর পূর্বক মাছ ধরার ব্যপারে রামপুর গ্রামের লোকজনকে নিষেধাজ্ঞা দেন। তারপরও জোরপূর্বক মাছ ধরায় রামপুর গ্রামের হাসানুর, মেহেদী হাসান, হিল্লাল, হাবিব, জিসান, আলী, সাইদ, বিল্লাল, মারুফ, ফারুখ, সরী, অপু, সিরাজুল (নাপিত), রাসেল, দেলোয়ার, হানিফা, ইমনসহ অজ্ঞাতনামা অর্ধশতাধিক ব্যক্তির নামে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বাঁওড় মালিক ও সমিতির সভাপতি শুধাংসু বাবু।
বাঁওড়ের মালিক গোপাল ও শাহ আলম বলেন, রামপুর গ্রামের যে দুইজন ব্যক্তি নেতৃত্ব দিয়ে বাঁওড় থেকে মাছ লুট করাচ্ছে তারাসহ সকলের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইজারা মালিক মোবারকপুর সমবায় সমিতির সভাপতি শুধাংসু বিশ্বাস বলেন, আমরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে বাঁওড় ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছি। এখানে ক্ষতি করতে যারাই আসুক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।