এস এম জালাল
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল ও শার্শা উপজেলা নিয়ে যশোর-১ সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনটি সব রাজনৈতিক দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রস্তুতি নিচ্ছে। পিছিয়ে নেই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা। এই আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী জোরেশোরে মাঠে রয়েছেন। শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। প্রতিনিয়ত গণসংযোগ, সভা, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। সাধারণ ভোটারদের দ্বোরগোড়ায় গিয়ে দলের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। বিএনপির মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
হাসান জহির বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছি। দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছি। বিগত সাড়ে ১৫ বছর আন্দোলন, সংগ্রাম ও নির্যাতনে মাঠে ছিলাম। শুধু বিএনপি করার কারণে আমার নামে ৪৪টি নাশকতার মামলা হয়েছে। আমি কখনো মাঠ ছেড়ে যাইনি। নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চায়, যে নেতাকে কাছে পাওয়া যায়, দল তাকেই মনোনয়ন দিক। সেই হিসাবে তৃণমূলের দাবি দলীয় মনোনয়ন যেন আমিই পাই। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে কোনো বিভেদ থাকবে না। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয়ী করবে।
হাসান জহির, দলের সকল পর্যায়ের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। এ কারণে আওয়ামী লীগ আমাকে টার্গেট করে মামলা দিয়েছে। এক এগারোর সময় আমি আটক হই। আটকের পরে আমার একমাত্র মেয়ে মারা যায়। এ সময় আমাকে প্যারোলেও মুক্তি দেয়া হয়নি। আমি আমার মেয়েকে কবর পর্যন্ত দিতে পারিনি। এমনকি অসুুস্থ বৃদ্ধ পিতাকে কোনভাবে সেবা দিতে পারিনি। আমার মুক্তির মাত্র সাতদিন পর বাবা মারা যান। বিগত ১৬ বছর রাজপথে থাকার কারণে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে এলাকার প্রতিটি জানজায় অংশ নিয়েছি। সব সময় এলাকায় অবস্থান করি। ফলে কেনা নেতাকর্মী সমস্যায় পড়লে তারা সর্বপ্রথম আমার কাছে ছুটে আসে। কারণ জনগণ আমাকে ভালবাসে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম। দল আমাকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিল। সেবার চূড়ান্ত মনোনয়ন না দিলেও দল এবার আমাকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসাবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিবে বলে আমি আশাবাদি।
হাসান জহির ১৯৮০ সালে নাভারণ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮১ সালে থানা ছাত্রদলের সভাপতি হন।
১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালে নাভারণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে উপজেলা বিএনপির কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে সংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন।
হাসান জহির বলেন, আমি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। উপজেলা জুড়ে আমার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আমি মাঠে থেকে কাজ করছি। আমি জনগণের সাথে আছি, জনগণ আমার সাথে আছে। এ উপজেলার সে সকল নেতাকর্মী মামলা ও হামলার শিকার হয়েছে, তাদের জামিনসহ সকল বিষয় আমি দেখাশোনা করেছি। তৃণমূলের জনগণের ভালবাসা পেয়েছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে কোনো বিভেদ থাকবে না। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয়ী করবে।