বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মণিরামপুরের ঘিবা গ্রামের প্রবাসী রফিকুল ইসলাম উজ্জলের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগে মামলা করে চরম বিপাকে পড়েছেন তার স্ত্রী। আসামিদের অব্যহত হুমকির মুখে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এখন গ্রাম ছাড়া। এ সুযোগে আসামিরা পুকুরের মাছ, গোয়ালের গরু, গাছপালা ও ঘরের জানালা-দরজা খুলে লুট করে নিয়ে গেছে। বর্তমানের প্রবাসীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা জীবনাশংকায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগী মামলার বাদী শাপলা খাতুন জানিয়েছেন, তার স্বামী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে দীর্ঘ বছর ধরে প্রবাসে আছে। ঘিবা গ্রামের জমশেদ আলী ও তার লোকজন বেশ কিছু দিন ধরে মোবাইল ফোনে রফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের চাঁদার দাবিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় রফিকুলের পরিবারের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ৫ আগস্ট বিকেলে জমশেদ আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রসাী আমার বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে। এরমধ্যে জামশেদ আলীর হুকুমে অপর সহযোগীরা ঘরে ঢুকে নগদ ৫ লাখ টাকা, ১৩ ভরি সোনার গহনা, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিষপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এরপর আসমিরা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। যাতে ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এলাকার পরিবেশ কিছুটা শান্ত হওয়ায় গত ১৮ আগস্ট জমশেদ আলীসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়। বিচারক অভিযোগটি গ্রহন করে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। মামলার বিষয়টি আসামিরা জনতে পেলে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। খুন-জখমের অব্যহত হুমকির মুখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছি। এ সুযোগে মামলার আসামিরা পুকুরের মাছ, গোয়ালের গরু, গাছপালা ও ঘরের জানালা-দরজা খুলে লুট করে নিয়ে গেছে। আসামিদের অব্যহত লুটপাট ও খুন-জখমের হাত থেকে রক্ষায় তিনি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।