বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। মানসিক সমস্যায় ভুগলেও বেশির ভাগ মানুষ চিকিৎসা করাতে চান না। মানসিক চিকিৎসা নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা রয়েছে। আবার কোথায় গেলে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা করানো যায়, এটি অনেকে জানেন না। মানসিক রোগে ভুগছেন এমন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ফলে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার গুরুত্ব বাড়ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কাউন্সিলিং সেন্টার চালুর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কাউন্সিলিং সেন্টার চালু করতে পারলে চিকিৎসা সহজ হবে। মানুষ উপকৃত হবে।
বুধবার যশোরে কাউন্সিলিং সেন্টার স্থাপন বিষয়ক জেলা পর্যায়ের পরামর্শক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। শহরের একটি হোটেলে এ কর্মশালার আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ও রাইটস যশোর।
পাচারের শিকার থেকে উদ্ধার হওয়া নারী ও পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনে কাজ করছে উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আশ^াস প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রাইটস যশোরের সভাপতি ডা. ইয়াকুব আলী মোল্লা। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ।
বক্তব্য রাখেন যশোরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রিস আলী, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক। কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফিজিওলজি বিভাগের প্রফেসর ও ক্লিনিক্যাল ফিজিওলজিস্ট কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। কর্মশালায়, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধি অংশ নেন।