বাংলার ভোর প্রতিবেদক
আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ।
বুধবার শহরের বকচরস্থ কার্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সমিতির নেতাকর্মীদের সামনে তিনি পদত্যাগ করেন। এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ মোহাম্মদ রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলসহকারে নেতাকর্মীরা জড়ো হন বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে। এ সময় রিয়াদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে আরিফুল ইসলাম রিয়াদের অপসারণের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এদিন আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিয়াদকে অপসারণে আল্টিমেটাম দেন তারা। বুধবার পদত্যাগের কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে অফিসের ভেতর থেকে ৮ থেকে ১০ জন অপরিচিত যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থানকারীদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করে এবং একজনকে চাকুসহ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। আটকরা বহিরাগত পরিবহন শ্রমিক বলে জানা গেছে। এ সময় আরোও ২ থেকে ৩জন পালিয়ে যায়।
এরপর নেতাকর্মীদের তোপের মুখে আরিফুল ইসলাম রিয়াদ পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে সভাপতির কাছে জমা দেন। পরে অবস্থানকারীরা অফিস থেকে আনন্দ মিছিল বের করে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের মুখপাত্র ফাহিম আল-ফাত্তাহ বলেন, ‘রিয়াদ আওয়ামী লীগের দোসর। ছাত্রজনতার গণঅভুস্থানের পর একজন দোসর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার চেয়ারে থাকতে পারে না। তাই শিক্ষার্থীরা তাকে পদত্যাগের কর্মসূচি নেয়। আমরা শুনেছি রিয়াদ পদত্যাগ করেছে।’
এই বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘রিয়াদকে পদত্যাগ করানো আমাদের দলীয় কোন সিন্ধান্ত না। তবে তিনি আওয়ামী লীগের দোসর। স্বৈরাচারী দোসররা ৫ আগস্টের পর কোন দপ্তরের চেয়ারে থাকবে না সেটা আমাদের নীতিগত সিন্ধান্ত ছিলো।’
যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, ‘মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে চাকুসহ এক বহিরাগত শ্রমিককে শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশে দেয়। এরপর সেই যুবককে অস্ত্র আইনের মামলায় বিকালে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।’