কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মহিলা শ্রমিকেরা ন্যায্য মজুরী পাচ্ছে না। হতদরিদ্র মহিলারা বেঁচে থাকার তাগিদে শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কর্মক্ষেত্রে মহিলারা সমান পরিশ্রম করলেও পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে তারা অর্ধেক মজুরী পাচ্ছেন।
সংসারের অভাব অনটন দূর করতে গ্রামের শ্রমজীবী মহিলারা ক্ষেতে খামারে , রাস্তায় মাটি কাটা , ইট ভাঙ্গা, ধানের চাতালে , রাইস মিলে, হোটেল রেস্তোরায় , রাজমিস্ত্রীর জোগালে, ইট ভাটাই, বিভিন্ন বাসা বাড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের শ্রম বিক্রি করে থাকে। এ সব মহিলারা অধিকাংশই স্বামী পরিত্যাক্তা , বিধবা, নির্যাতিতা, অসহায় ও ভূমি হীন। এ সব ভাগ্য বিড়াম্বিতা মহিলা শ্রমিকের মধ্যে কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধু মাত্র পরিবারের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য তারা শ্রমিকের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। একজন মহিলা শ্রমিক পুরুষের সমান পরিশ্রম করলেও তারা পুরুষের সমান মজুরি পান না। মজুরি পান অর্ধেক।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২ হাজার মহিলা শ্রমিক বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ধণাঢ্য পরিবারের আসবাব পত্র গোছানো, ঘর বাড়ি ঝাড়ু দেওয়া, থালা বাসন পরিষ্কার সহ বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ , হোটেল রেস্তোরায় রান্না সহ বিভিন্ন কাজ করছে।কাজের বিনিময়ে অনেকে দু – বেলা দু- মুঠো পেট ভরে ক্ষেতে দিচ্ছে। াতবা পুরুষ শ্রমিকের যে মজুরী দেওয়া হয় তার অর্ধেকেরও কম মজুরী দেওয়া হচ্ছে মহিলা শ্রমিকদের।অসহায় মহিলারা তাদের ভাগ্য ফিরানোর লক্ষ্যে দিনভর অক্লান্ত পরিশ্রম করেও তাদের ন্যায্য মজুরী দেওয়া হচ্ছে না।তারা প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত মহিলাদের দিয়ে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করিয়ে দুমুঠো ভাত দিয়ে অথবা কিছু টাকা হাতে দিয়ে মহাজনরা বিদায় করে দিচ্ছে। যার ফলে অর্থ সংকটের কারনে এ সকল মহিলারা তাদের ছেলে মেয়েদের ঠিকমত স্কুলে লেখা পড়া শেখাতে পারছে না। ফলে তাদের অপ্রাপ্তবয়সের সন্তানদের পাঠাতে হয় কর্মস্থলে।
এ সব মহিলারা শ্রম বিক্রি করে ন্যায্য মজুরী পেলে তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে স্বচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারতো। শ্রমজীবী মহিলারা তাদের কাজের ন্যায্য মজুরীর দাবী জানিয়েছে।