নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে শার্শা উপজেলার বুরুজবাগান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও চেতনায় উদ্ধুদ্ধকরণের লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সকালে শার্শা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান চৌধুরী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) রফিকুল হাসান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ছাত্রীদের মাঝে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা সম্পর্কিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং সেই চলচ্চিত্র থেকে মুক্তিযুদ্ধের উপর কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করা হয় এবং পাঁচজন বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন সহকারী তথ্য অফিসার এলিন সাঈদ-উর রহমান।
এরপর আলোচনা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বক্তব্য প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বক্তব্য প্রদান করেন যশোার জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম। প্রধান অতিথি রফিকুল হাসান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তীদের মুখ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পেরে তিনি সম্মানিতবোধ করছেন। তিনি দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে বলেন। তিনি কন্যা সন্তানের গুরুত্ব, মাদকের কুফল ও বাল্যবিবাহ রোধে ছাত্রীদেরকে সচেতন করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, যাঁরা আজ কথা বলছেন, ২০ বছর পরে তারা আর নাও বেঁচে থাকতে পারেন। তাই তাদের মুখ থেকে নি:সৃত কথা গুরুত্ব ও মনোযোগের সাথে শুনতে হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান তিনি তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তিনি বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত তারামন বিবির সাথে তার সরাসরি কথোপকথন এর স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস, উলশী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান, শার্শা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মাদ, শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান চৌধুরী, বুরুজবাগান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরেন এবং যশোর জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের অত্যাচার এবং নির্মমতার কথা তুলে ধরেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মাদ ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও মুক্তিযুদ্ধের সময় তার জীবনে ঘটে যাওয়া কয়েকটা ঘটনার বর্ণনা করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী তথ্য অফিসার জনাব এলিন সাঈদ-উর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ এর সদস্যবৃন্দ, বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবকসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শিরোনাম:
- গদখালীতে মহাসড়কের পাশে ফুল বেচাকেনায় নিষেধাজ্ঞা
- বটতলায় ঐতিহ্যের লোকজ মেলায় সম্প্রীতির মেলবন্ধন
- আমাদের রবীন্দ্র চর্চা বাড়াতে হবে : অর্দ্ধেন্দু প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়
- অচিরেই জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে : নার্গিস বেগম
- কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য কমাতে ইউএনও’দের নির্দেশ
- যশোরে মোটর গ্যারেজ মালিককে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
- ডুমুরিয়ায় ৪ দিনব্যাপি বিশেষ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন
- ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্স স্নাতক সমমানের দাবি