নড়াইল সংবাদদাতা
পৃথক দুটি নোটিশে নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে বহিষ্কার এবং অপর দুজনকে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
জানা গেছে, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলীয় আদর্শ পরিপন্থী আচরণসংক্রান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় অন্য দুই নেতাকে তাদের পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত রাশেদুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক। অন্যদিকে পদে পুনর্বহাল হওয়া হওয়া দুই নেতা হলেন জেলা শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুর রহমান ও আমিরুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার সদস্যসচিব শাফায়াত উল্লাহ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৩ জুলাই ওই চিঠি ইস্যু করা হয়। রোববার রাতে চিঠিটি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার বিরুদ্ধে কমিটির পক্ষ থেকে গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রম, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং দলীয় আদর্শ পরিপন্থী আচরণের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনা সাপেক্ষে কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে তাকে বহিস্কার করা হলো।
আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগে কিছু সাংগঠনিক অসংগতি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুর রহমান এবং আমিরুল ইসলামকে শোকজ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাদের দুঃখ ও সংগঠনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ এবং ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার অনুসরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটির এক জরুরি সভায় তাদের সাধারণ ক্ষমা করে আগের পদে পুনর্বহাল করা হয়।
বহিস্কারের বিষয়ে রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে বহিস্কার নোটিশ ফেসবুকে দেখেছি। তবে আমার হাতে আসেনি। আমি আপিল করব। আশা করছি, তারা এ আদেশ প্রত্যাহার করে নেবে।’
সংগঠনটির নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন সংগঠনের ফেসবুক পেজে জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে একটি পোস্ট দেন আবদুর রহমান। পোস্টে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি ছবি সংযুক্ত করে প্রশাসনকে শহীদ, আহত ও সাধারণ মানুষের প্রতি আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পোস্টটি পরে আরেক যুগ্ম সদস্যসচিব আমিরুল ইসলাম মুছে ফেলেন। এ নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর ৮ জুন সিনিয়র নেতারা মীমাংসার চেষ্টা করলেও তারা সাড়া দেননি। পরদিন ৯ জুন নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই-তিনজন আহত হন। আমিরুলের পক্ষে মারামারিতে অংশ নেন রাশেদুল ইসলাম।
পরে ১১ জুন এ ঘটনায় সংগঠনটির তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।