বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দ রোববার রাত ৮টার দিকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সভা করেছেন। আগামী ২১ জানুয়ারি যশোরের অর্থনৈতিক সমস্যা ও সংকট নিয়ে সেমিনারের অংশ হিসেবে এই সভা চেম্বার ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক তানভিরুল ইসরাম সোহান, যুগ্ম সম্পাদক এজাজ উদ্দিন টিপু, কোষাধ্যক্ষ শাহজাহান আলী খোকন, নির্বাহী সদস্য গোলাম রেজা দুলু, যশোর জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রকিবুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্জয়, সিটিপ্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান আজাদ, সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান সুজন, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদ ডিএইচ দিলশান প্রমুখ।
সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার হঠাৎ করেই শত পণ্যের ভ্যাট বাড়িয়েছে। যা মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে। এমনিতে ব্যবসার অবস্থা ভালো না, তার ওপর নতুন করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ হলে ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা। ইতিমধ্যে কাস্টম কর্মকর্তারা দোকানে এসে নতুন ভ্যাট আরোপের কথা বলে গেছেন। আমরা বলতে চাই নতুন করে আর ভ্যাট বাড়ানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হবেনা। প্রয়োজনে সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলব। সরকার ভ্যাটের আওতা না বাড়িয়ে যারা ভ্যাট দিয়ে থাকেন নিয়মিত, তাদেরকে চেপে ধরছেন।
যশোর শহরে কমপক্ষে ৫০টি রেস্তোরাঁ পরিচালিত হচ্ছে। অথচ কাস্টমস সবার কাছে যাচ্ছেনা। সড়কগুলোর পাশে অস্থায়ীভাবে খাবার বিক্রি হচ্ছে। তারা ভ্যাট ছাড়াই কম দামে খাবার বিক্রির কারণে প্রকৃত ভ্যাটধারী ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
সভায় বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত সরকারের সময়ে পুলিশ এসে আমাদের অনেক অত্যাচার করেছে। চাঁদা নিয়েছে। আবারও তারা চাঁদা তুলতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। গাড়িখানায় পুলিশের জায়গায় সারা বছর ধরে মেলার নামে নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। যে কারণে ঈদের সময় বড় বাজার, কালেক্টরেট, সিটি প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এই মেলা বন্ধ করতে হবে।