বাংলার ভোর প্রতিবেদক
‘প্রত্যাশার প্রাপ্তি মিলেছে। আমার সফলতার কারিগর শিক্ষকের পাশাপাশি হচ্ছেন আমার মা। আমার বাবা নেই। তাই আমার মা আমাকে সব সময় পড়াশোনার দেখভাল করেছেন। প্রেরণা যুগিয়েছে, সাহস দিয়েছে। বন্ধুর মতো সবসময় আমার পাশে ছিল আমার মা। আজ মা দিবসে আমার জিপিএ-৫ উৎসর্গ করছি মায়ের প্রতি। ’
এভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সেমন্তি হাসান শ্রেষ্ঠা। সব বিষয়েই সে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
একই বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস হিয়া ফলাফলে খুশি হয়েছে। সে জানায়, আজ আমাদের দুটি বিশেষ দিন। একটি হচ্ছে ফলাফল প্রকাশ ও অন্যটি হচ্ছে মা দিবস। এই বিশেষ দিনে জিপিএ-৫ পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। আমার প্রাপ্তি আমার মাকে উৎসর্গ করছি। মা দিবসে মা’কে দেয়া আমার শ্রেষ্ঠ উপহার জিপিএ-৫।
বিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাইমা ইসলাম সুমি জানায়, ‘জিপিএ-৫ পেয়েছি। অনেক ভালো লাগছে। করেনার পর এবারই আমরা পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। গণিত বিষয়ে একটু কঠিন প্রশ্ন মনে হয়েছিল। তবুও আমরা সবাই ভালো ফলাফল করতে পেয়ে আনন্দিত।’
আরেক শিক্ষার্থী নাজিফা আক্তার জানায়, ‘শিক্ষা জীবনে মায়ের অবদান সবথেকে বেশি ছিল। শিক্ষকরা যেমন স্কুলে গাইড দিতেন, তেমনি বাসায় মা গাইড দিতো। শিক্ষক এবং মা-বাবার অবদানেই আজ ভালো ফলাফল হয়েছে। আমার ইচ্ছা আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবো এবং ব্যারিস্টার হবো।’
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাসান পারভেজ বলেন, ‘আমরা সবসময় অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অবদানের কারণে আজ আমরা সেরা, যশোর বোর্ড সারাদেশে সেরা।’