বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বুধবার দুপুরে যশোর জেলা পরিষদের হল রুমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা এদেশ ১৮ কোটি মানুষের, মুক্তিযোদ্ধা ৫৬ হাজার বর্গমাইলের। মুক্তিযুদ্ধের একতা আমাদের সেই পতাকার, একটা মানচিত্রের। এখানে বিভাজনের কোনো সুযোগ নেই। এখানে বিভাজিত সমাজের কোনো অবস্থান নাই। দেশ পরিচালনায় যারা ব্যর্থ হবেন, দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণে যারা ব্যর্থ হবেন, দেশের জনগণকে যারা বিভাজিত করে বঞ্চিত করবেন তার জন্য বারবার গণআন্দোলন হতে পারে গণ বিপ্লব হতে পারে গণঅভ্যুত্থান হতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ হবে না। শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন হতে পারে, শাসন কাঠামোর পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অবস্থান কখনও পরিবর্তন হবে না। মুক্তিযুদ্ধের অবস্থান মুক্তিযুদ্ধই থাকবে। এই পটভূমি যদি আমরা বুঝতে না পারি তাহলে বারবার যারা আসবেন তারা নতুন করে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবেন। এই রকমভাবে কাউকে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া যাবে না। মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার কোনো সুযোগ সৃষ্টি করতে দেয়া যাবে না। মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে আমাদের উন্নয়নকে চিন্তা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেই বিশ্বের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক চিন্তা করতে হবে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস আসলে আপনারা ঘরে বসে থাকতে পারেন না। এটা বিবেকের তাড়নায়, দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার তাড়নায়। যেদিন দেশে একজনও মুক্তিযোদ্ধা থাকবে না আমাদের প্রজন্মরা কি সেদিন আপনাদের মত করে ভালোবেসে মুক্তিযুদ্ধকে বুকে আঁকড়ে ধরবে কি না আমরা চিন্তা করতে পারি। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে সবাইকে এক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক রফিকুল হাসান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মনি, ফেরদৌসি বেগম।