বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনে প্রবেশ পথেই এক পাশে মসজিদ অন্য পাশে মন্দির। যা ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য নিদর্শন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৮ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন এসএম জোবায়ের হোসেন। শনিবার সকালে সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন দিবসে এসে পুরানো দিনের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। তার স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে আবেগ আপ্লুত সোনালী অতীতের কথা। তিনি বলেন, আমরা যখন এখানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীতে পড়েছি তখন অনেক সুন্দর সময় পার করেছি। বন্ধুদের সাথে অনেক দুষ্টুমি করেছি। এই মাঠে খেলা করেছি। পুনর্মিলনীতে এসে আমার সেই সব ব্যাচমেট বন্ধুদের কথা মনে পড়ছে। আজকের দিনের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত না। শুধু এসএম জোবায়ের হোসেন নয়, প্রাক্তন শিক্ষার্থী আশরাফুল রহমান বুলবুল, বীরমুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায়, রবিউল আলমসহ আরও অনেকে স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রতিবছর আমরা দল মত নির্বিশেষে বন্ধু, ছোট ভাই ও বড় ভাই মিলিত হই। সবার সাথে সাথে দেখা হয়। অনেক প্রিয় বন্ধুকে আমরা হারিয়েছি। এই দিনটি আমাদের কাছে মিলনমেলা।
যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনে প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আয়োজিত সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন দিবস ও বার্ষিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এমন স্মৃতিচারণ করেন।
“এসো মাতি প্রাণের টানে, আপন আঙিনায়” স্লোগান সামনে রেখে যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনের ১৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সকাল থেকে প্রতিষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের উদ্যোগে সকালে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ঢাক ঢোল বাঁশি বাজিয়ে শহরে আনন্দ র্যালি বের করেন।
অনেকদিন পর একত্রিত হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা। বহু বছর পর পুরনো বন্ধুদের সাথে পুনর্মিলিত হয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই। প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে ফটোসেশন করেন ও পুরনো স্মৃতিচারণে মগ্ন হন।
এদিন বিকেলে ইনস্টিটিউশন মাঠে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ডা. এম এ রশীদ। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খান মাসুম বিল্লাহ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। অনেক দিন পর প্রিয় প্রতিষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আসতে পেরে তিনি আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রিয় প্রতিষ্ঠানে আমরা মধুর সময় পার করেছি। ছাত্র শিক্ষকদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আমরা গুরুজনদের শ্রদ্ধা সম্মান করি। তারা আমাদের শাসন করেছিল বলেই আমরা পড়ালেখা শেষ করে কর্মজীবনে আসতে পেরেছি। প্রতিষ্ঠানের সুনাম বজায় রাখতে পড়াশুনার পাশাপাশি মানবিক মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।
আলোচনা সভা শেষে কৃতি প্রাক্তন শিক্ষার্থী দেবব্রত ঘোষ (ব্যাচ ১৯৬২), অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক (ব্যাচ ১৯৬৬), মঈন উদ্দীন বাঁশী (ব্যাচ ১৯৬৬), চিন্ময় সাহা (১৯৬৭), অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আফজালুল করিম লাকী (ব্যাচ ১৯৬৭), বীরমুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায় (ব্যাচ ১৯৬৮) কে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় প্রধান অতিথির হাতে সম্মাননা ক্রেস তুলে দেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মিহির কান্তি সরকার উপস্থিত ছিলেন। রাতে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন দিবস শেষ হয়।
শিরোনাম:
- যশোরে নেতাকর্মীদের জন্য রিজার্ভ আড়াইশ’ বাস-মাইক্রোবাস
- জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পরেও মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার বঞ্চিত : অমিত
- জেলের ছদ্মবেশে এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি ধরলো পুলিশ
- যশোরে হিট স্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু
- নাটক ম্যাডম্যান মঞ্চস্থ
- রহিমাবাদকে আপনারাই আদর্শ গ্রাম করতে পারেন : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক
- বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে বাবু-রাজ্জাক প্যানেল জয়ী
- যশোরে গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত