বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিকেএসপি জিমন্যাস্টিক বিভাগীয় প্রধান কোচের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, যশোরের সুরাইয়া শিকদার এশা (জিম-১৭৯) ২০২০ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি হয়। এ সময় তিনি বিভাগীয় প্রধান মর্জিনা বেগমের তত্ত্বাবধানে টানা তিন বছর অনুশীলন করেন। কিন্তু প্রশিক্ষণকালে কোচের তিরস্কার, অশালীন আচরণসহ নানা মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। এর ফলে একাধিকবার ইনজুরির শিকার হন এশা। এবং প্রশিক্ষণে পড়েন পিছিয়ে। এতে করে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেন মর্জিনা বেগম।
অভিযোগের বিষয়ে এশার পিতা খবির শিকদার জানান, ২০২৩ সালে অভিভাবক সমাবেশ শেষে বিভাগের কোচ কালাম স্যারের সাথে নারী শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা একপর্যায়ে নারী শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে আছে ছেলেদের তুলনায় এমন মন্তব্য করায় বিভাগীয় প্রধান মর্জিনা বেগম ক্ষুব্ধ হন। এরপর থেকে তিনি আমার সন্তান এশার সাথে অমানবিক আচরণ শুরু করেন। এবং শুধু এশা নয় এমন আচরণ আরো অনেক শিক্ষার্থীর সাথেও করা হয় বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন খবির শিকদার। সেই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মর্জিনা বেগম ম্যাম আমাকে একদিন মোবাইল ফোনে কথা বলে কারণ জানতে চান এবং আমাকে বলে আমি ডিজি মহোদয়ের সামনে বসে কথা বলছি। তারপর আমার মেয়েকে সে তার কাছে ডেকে নিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে কথা বলে এবং আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস ডিলিট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
এবং নিজেকে রক্ষায় আমার মেয়েকে দিয়ে একটা পজেটিভ স্টেটমেন্ট লিখিয়ে নেয়। পরবর্তীতে বিস্তারিত সবকিছু জানতে পেরে আমার মেয়ে রাত ১১ টায় অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে মেডিকেলে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু অসুস্থতার অভিভাবককে অফিশিয়ালি কিছুই জানানো হয় না। আনফিসিয়ালি সংবাদ পাবার পর আমি ছুটির জন্য মর্জিনা বেগম ম্যাডামের কাছে মৌখিকভাবে আবেদন করি তিনি হাউজ মাস্টারের সাথে কথা বলতে বলেন এবং বলেন এটা তার একতিয়ারের বাইরে।
তিনি আরও বলেন একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কোচ ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে আমরা কখনই এমনটা আশা করিনি। এদিকে সর্বশেষ গেইম পরীক্ষায় আমার মেয়ে (সি-গ্রেড) অর্জন করে একমাত্র শিক্ষার্থী হিসেবে। যা আমার মেয়েকে বিকেএসপি পরিত্যাগে বাধ্য করার ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। আর তাই তিনি মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সঠিক বিচারের জন্য কর্তৃপক্ষসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।